পাবনায় ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে এক বছর ধর্ষণ ছাত্রীকে

স্কুল ছাত্রীর অশ্লিল ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশের হুমকি দিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাবনায়। এই ঘটনায় প্রতিবেশী কার্তিক সুত্রধরকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় প্রধানদের কাছে অভিযোগ করেছে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর মা।

জানা যায়, গত এক বছর পূর্বে স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানী করে ও আপত্তিকর ভিডিও দৃশ্য ধারন করে মোবাইলে। পরে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গতপ্রায় এক বছর ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করছে ঐ ছাত্রীকে। আর এসব ভিডিও ধারন করে রাখত লম্পট কার্তিক।

স্কুলছাত্রী জানায়, কার্তিক ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করেছে। এক পর্যায়ে সে এ ঘটনা সবাইকে বলে দিতে চাইলে কার্তিক তাকে এসএসসি পরীক্ষা শেষে বিয়ে করবে বলে কথা দেয়। এভাবে উভয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক নিয়মিত চলতে থাকে। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্বেই কার্তিক আত্মগোপন করে। এতে নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। ক্রমেই ঘটনাটি লোকসমাজে জানাজানি হয়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে গত তিন দিন ধরে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান শ্রী মহাদেব, শ্রী কৃঞ্চ, সুভাষ সরকার সহ অন্যন্য প্রধানবর্গ দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেন। সালিশ বৈঠকে উভয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি প্রমাণিত হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান শ্রী মহাদেব, শ্রী কৃঞ্চ ও সুভাষ সরকার অভিযুক্তের পক্ষ নেয়ায় কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সালিশ কার্যক্রম।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি জানাজানি হলে কার্তিকের পরিবার আমাদের পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে নির্যাতিতার পরিবারটি অভিযুক্তের পরিবার এবং এলাকার প্রধানবর্গের চাপে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ জানান, অভিযোগের বিষয়টি সত্য হলেও ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান শ্রী কৃঞ্চ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্ত ছেলে পলাতক থাকায় বিষয়টির আপোষ-মীমাংসা করতে সময় লাগছে।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আপনাদের মুখেই এই প্রথম বিষয়টি জানতে পারলাম। আমাদের কাছে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’