যার নির্দেশে মামলা তিনিই এখন খালেদার মামলার প্রধান আইনজীবী!

বাংলাদেশে চলমান আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ এ মামলায় ৬জন আসামী রয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিদেশ থেকে আসা এতিমখানার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ, তারেক রহমান সহ অন্যান্য আসামীদের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়। তারেক রহমানসহ বাকি ৫ আসামীর ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা হয়।

বিগত ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি করা হয়। সেসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসান আরিফ। যাকে কিনা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলার অন্যতম কুশিলব হিসেবে ধরা হয়।

মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়ের করলেও এক্ষেত্রে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরোক্ষ সমর্থন বা নির্দেশ যে ছিলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সে সরকারের আইন উপদেষ্টা (আইনমন্ত্রী সমতুল্য) হিসেবে অ্যাডভোকেট হাসান আরিফকে এ মামলার পেছনের একজন নির্দেশ দাতা বা ছায়া সঙ্গী বলা যায়।

বর্তমানে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। ঠিক যেন সেই গানের মত ‘সর্প হইয়া দংশন করো, ওঝা হইয়া ঝাড়ো’… আসলেই তাই। এবার খালেদা জিয়াকে ওঝা হয়ে ঝাড়ার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট হাসান আরিফ।

শোনা গেছে, তিনি নাকি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে আপিলে বেগম জিয়ার প্রধান কৌসুলী হবেন। বিএনপির আইনজীবীদের উপর আস্থাহীনতা থেকেই একরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই মামলায় বিএনপির আইনজীবীদের প্রতিযোগিতা এবং সমন্বয়হীনতা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বেগম জিয়ার পরিবার দলীয় আইনজীবীর বাইরে, একজন পেশাদার আইনজীবীকে মামলার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট হাসান আরিফ বেগম জিয়ার মামলার ফাইল গ্রহণের কথা স্বীকার বলেন, ‘একটা টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা এই মামলা লড়তে চাই।

এ মামলায় তিনি আইন উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় এই মামলা হয়েছিল, এখন তিনিই আবার আসামির আইনজীবী এটা স্ববিরোধীতা কিনা, জানতে চাইলে হাসান আরিফ বলেন, এই মামলা আইন মন্ত্রণালয় করেনি, করেছে দুদক। কাজেই স্ববিরোধিতার কোনো প্রশ্নই আসে না।