আইসিসিকে ধুয়ে দিলেন আইরিশ অধিনায়ক

পৃথিবীতে ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলোর সংখ্যা হাতে গোনা যায়। মূলত আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২টি দেশ ও কয়েকটি সহযোগী দেশই বাঁচিয়ে রেখেছে খেলাটিকে। এরপরও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপটি ১০ দলের টুর্নামেন্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের এই অভিভাবক সংস্থা। যেখানে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ছাড়া বাকি ৭ দলই এসেছে র‍্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানের ভিত্তিতে। বাকি দুইটি স্থানের জন্য দশ দলের বাছাইপর্ব চলছে জিম্বাবুয়েতে। অর্থাৎ, এই বিশ্বকাপে যেখানে টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের খেলারই সুযোগ নেই, সেখানে সহযোগী দেশগুলোর অবস্থা সামনে কোথায় দাঁড়াবে তা ভেবেই শঙ্কিত আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নতুন দুই পূর্ণাঙ্গ সদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের লড়াইয়ে আইরিশদের হারিয়ে আগামী বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে আফগানরা। কষ্ট পেলেও সামনে আরো খেলার সুযোগ আছে, তা ভেবে সান্তনা নিচ্ছেন পোর্টারফিল্ড। কিন্তু তিনি শঙ্কিত সহযোগী দেশগুলোকে নিয়ে, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করব। পুরো গ্রীষ্মে আমাদের আরো ম্যাচ আছে। আমরা কিছুটা ভাগ্যবান, এ অবস্থায় আসতে পেরেছি। স্কটল্যান্ডের জন্য আমার খারাপ লাগছে। তাদের জন্য ভাল করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

বিশ্বকাপ ১০ দলের হয়ে যাওয়ায় আইসিসির বেশ সমালোচনা হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি বালব্রিনি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে আইসিসিকে ‘ভি’ চিহ্ন দেখাতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের মতো কয়েকটি দল যেতে পারেনি বিশ্বকাপে। পোর্টারফিল্ডের মতে নিজেদের উন্নয়নের জন্য আইসিসির কাছ থেকে অর্থ পাওয়া এই দলগুলোর জন্য এখন কঠিন, ‘অনেক দলই এখান থেকে শূন্য পকেটে ফিরে যাচ্ছে। স্কটল্যান্ড এত কাছে এসেছিল, কিন্তু আগামী চার বছর তারা কি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সামনে এগিয়ে যাবে? উন্নয়নের জন্য আইসিসির কাছ থেকে টাকা পেতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হবে।’

মূলত, অভিজ্ঞ পোর্টারফিল্ড বলতে চাচ্ছেন ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হয়েও আইসিসি একরকমের বিমাতাসূলভ আচরণই করছেন সহযোগী দেশগুলোর সাথে। যার শিকার এখন সহযোগী দেশ না হয়েও তারা। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড টেস্ট মর্যাদা পেয়ে পূর্ণ সদস্য হয়েছে। এখনো টেস্ট খেলেনি। আবার জিম্বাবুয়ে পড়েছে বাদ। তাহলে পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশই যদি বিশ্বকাপে খেলতে না পারে এবং সহযোগী সদস্য দেশের মধ্য থেকে কারো যদি প্রতিনিধিত্ব না থাকে বিশ্বকাপে তাহলে সেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কতোটা উপকারে আসবে? পোর্টারফিল্ড এসব ভেবেই বিস্মিত এবং রেগে মেগে ধুয়েই দিলেন আইসিসিকে!