আবারও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে মোহাম্মদ শামি

মোহাম্মদ শামির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন, পরকীয়ার, বড় ভাইকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ, এছাড়া ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। এ কারণে গত ৮ মার্চ ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা থেকে বাদ পড়েন শামি। ১৫ দিনের মাথায় শামিকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত করেছে বিসিসিআই। তিনি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন। এই ক্যাটাগরিতে তিনি ১ বছরে বেতন পাবেন ৩ কোটি রূপি।

‘বি’ ক্যাটাগোরিতে আরো আছেন লোকেশ রাহুল, উমেশ যাদব, কুলদীপ যাদব, যজুবেন্দ্র চাহাল, হার্দিক পান্ডিয়া, ইশান্ত শর্মা ও দিনেশ কার্তিক। ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা বিসিসিআই এর চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে থাকবেন। আর চুক্তিতে ফেরায় আসন্ন আইপিএলে অংশগ্রহণ করতে আর কোন বাধা রইলোনা এই ভারতীয় পেসারের।

এই সময়ের মধ্যে শামির বিরুদ্ধে বিসিসিআই তদন্ত চালিয়েছে। সেই তদন্তে পেসারের বিরুদ্ধে কোনো অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি তথা দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি। সে কারণেই ১৫ দিন পরে তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে আইপিএলের চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বলেন, আসলে আমরা কেবল সেই বিষয় নিয়েই কথা বলতে ও ব্যবস্থা নিতে পারি যেটা দুর্নীতি দমন ইউনিট তদন্ত করে দেখতে পারে। আমরা তার ব্যক্তিগত জীবনের কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারি না। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

বৃহস্পতিবার বিসিসিআই এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দিল্লির সাবেক পুলিশ কমিশনার ও বিসিসিআই এর দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান নিরাজ কুমার তার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। শামির বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তার বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

শামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি দারুণ খুশি। আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারব। জানতাম আমার বিরুদ্ধে ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের যে অভিযোগ ছিল তা ভিত্তিহীন। এদিকে শামির স্ত্রী হাসিন জাহানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শামি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কলকাতার পুলিশ।