একের পর এক কফিন নামছে আর্মি স্টেডিয়ামে

মরদেহগুলো একের পর এক আর্মি স্টেডিয়ামে আসার পর সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন অপেক্ষারত স্বজনরা। এসময় স্বজন্দের কান্নায় আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে উঠে।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিহতদের মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সময় আড়াইটার দিকে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে মরদেহবাহী বিমানটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। প্রথমে কফিন নিয়ে যাওয়া হবে আর্মি স্টেডিয়ামে।সেখানে প্রথম জানাজা শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

২৩ বাংলাদেশি হলেন , ২৩ বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন-উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফ এইচ প্রিয়ক, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল,
সানজিদা এবং নুরুজ্জামান।

নিহত বাকি তিন জন- আলিফুজ্জামান, পিয়াস রায় ও নজরুল ইসলামের মরদেহ শনাক্ত হওয়া সাপেক্ষে শিগগিরই দেশে পাঠানো হবে। এর আগে ইউএস-বাংলার একটি বিমানে করে নেপালে যাওয়া স্বজনদের দেশে পাঠানো হয়।

গেলো ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হন।