কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিলে কমিয়ে দেওয়া হবে নম্বর, উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়

কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিলে কমিয়ে দেওয়া হবে নম্বর। এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে উত্তাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। দিনভর চলে বিক্ষোভ।

অভিযোগের তীর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলীপ রায় চৌধুরীর দিকে। ছাত্রীদের অভিযোগ, মাঝেমাঝেই যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করতেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। তিনি ওই বিভাগের কন্ট্র্যাক্টচুয়াল শিক্ষক। তাঁর কুপ্রস্তাবে রাজি না হলেই পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন সেই শিক্ষক। কখনও আবার ইচ্ছাকৃত ভাবে খাতায় কম নম্বর দিয়ে ছাত্রীদের শাসানো হত বলে অভিযোগ।

জানা গেছে, বহু মাস ধরেই নাকি সেই অধ্যাপক এমন কাজ করে চলেছেন। প্রথমদিকে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও, মাস তিনেক আগে এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের অভিযোগের পরেও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অধ্যাপকের এহেন অপকর্ম মেনে নিতে না পেরে বুধবার বিক্ষোভে নামেন ছাত্রছাত্রীরা। কার্যত বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ থাকে পঠনপাঠন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসেন ছাত্রছাত্রীরা।

বিক্ষোভের জেরে দিলীপ রায় চৌধুরী ঢুকতে পারেননি তাঁর নিজের বিভাগে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ভয়ঙ্কর অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিলীপ রায় চৌধুরীর দাবি, তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। পুরোটাই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।