চিনের আবিষ্কার হার মানাল হলিউড মুভিকেও, চুড়ান্ত আশঙ্কায় শত্রুরা

যে কোনও হলিউডি সিনেমাও এমন দৃশ্য দেখানোর আগে বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে দু’বার ভাবে। যুদ্ধক্ষেত্রে রিমোট পরিচালিত ব্যাটল ট্যাঙ্ক! মানে কোনও চালক নেই, গোলন্দাজ নেই। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহু দূরে কন্ট্রোলরুমে বসে স্রেফ রিমোটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ওই ট্যাঙ্ক। এবার বাস্তবে এমনই অত্যাধুনিক সাঁজোয়া গাড়ি এনে হামলা দাগার অপেক্ষায় চিন।

চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ‘আনম্যানড ট্যাঙ্ক’ আবিষ্কার করে ফেলেছে বেজিং। শুধু এরকম গ্রাউন্ড ভেহিকলই নয়, মানুষ ছাড়াও উড়বে এমন এরিয়াল ভেহিকল বা সহজে বললে ড্রোনও এখন বেজিংয়ের সামরিক সরঞ্জামের ভাঁড়ারে রয়েছে। স্যাটেলাইট, এয়ারক্রাফট বা সাবমেরিন থেকে পরিচালিত করা যাবে ওই ট্যাঙ্ক বা ড্রোন। সরকারি টিভি চ্যানেলে ওই ট্যাঙ্কের সামরিক মহড়ার ফুটেজও দেখানো হয়েছে। এদের পোশাকি নাম টাইপ ৫৯ ব্যাটল ট্যাঙ্ক। এই সামরিক গাড়ি যুদ্ধক্ষেত্রে নামলে শত্রুর হামলায় একজন সেনারও কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু চিনা গোলার আঘাতে গুঁড়িয়ে যাবে দুশমনের ঘাঁটি।

এই মুহূর্তে আমেরিকা, জাপান বা ভারতের সঙ্গে চিনের যা সম্পর্ক- তাতে প্রতিটি দেশই চিনের এই উন্নয়নের খবরে আশঙ্কিত। আশার খবর এটুকুই, মহড়াতে ট্যাঙ্কের কিছু ত্রুটি ধরা পড়ায় এখনই সেটি লালফৌজের হাতে তুলে দিচ্ছে না বেজিং। বরং আরও কিছুদিন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরই সেটি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। সোভিয়েত মডেলের এই টাইপ ৫৯ ট্যাঙ্ক ১৯৫০-তে সর্বপ্রথম চিনা সেনাই ব্যবহার করে। তারপর থেকেই সে দেশে ওই ট্যাঙ্কের বিপুল উৎপাদন শুরু হয়। নিয়ম মেনে ওই ট্যাঙ্কের মডেলে বেশ কিছু পরিবর্তনও আসে। কিন্তু এমন পরিবর্তনও যে আনা যাবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি চিনের শত্রুরা। সাধারণত এই ধরনের ট্যাঙ্কে ১০০ এমএম মর্টার, একটি ৭.৬২ এমএম মেশিন গান, একটি ১২.৭ এমএম অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মেশিন থাকে। এক একটি এরকম ট্যাঙ্কে ৪ জন করে সেনাবাহিনীর সদস্য থাকেন।