জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা মুশকিলের ব্যাপার: অর্থমন্ত্রী

‘জামায়াত দেশের শত্রু। এদেশে তাদের থাকার কোন অধিকার নেই। তবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা ‘মুশকিলের ব্যাপার’।পাশাপাশি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় জামায়াত ইসলামীর লোকেরা জড়িত বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার সচিবালয়ে বিসিএস ইকোনোমিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন, এটা জামায়াত করেছে। দলটি বাংলাদেশের শত্রু, তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।

ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ব্যবস্থা করছে সরকার। তাদের বক্তব্যের বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে? গভমেন্ট ইজ নট ইনভলবড অ্যাট অল। যদি বিএনপি এটা বলে থাকে, তাহলে এটা জামায়াতের মানুষ হবে। আই অ্যাম শিউর, গট ইট। খোঁজ নিয়ে দেখুন এটা জামায়াতের কাজ হবে।’

জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে বহুবার সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস এসেছে। এটা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা করা হচ্ছে। তবে এটা আমার মনে হয় করা মুশকিল আছে।’ তবে জামায়াত নিষিদ্ধে মুশকিল কী, সেটি আর জানাননি মন্ত্রী।

মুহিত বলেন, ‘ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যেখানেই আছে, তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দে আর এ থ্রেট টু দ্য ন্যাশনস সিকিউরিটি। তাদের জন্য যে ব্যবস্থা আমাদের সরকার নিয়েছে, এটাই সঠিক ব্যবস্থা।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, জাস্ট ইলিমিনেট দেম। ইতোমধ্যে এদেশে যারা চরমপন্থী তাদের বিরুদ্ধে যে স্টেপস গ্রহণ করা হয়েছে, দুনিয়ার কোনো দেশেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাদের খুঁজে খুঁজে বের করা হচ্ছে এবং শাস্তি দেয়া হচ্ছে।’

পুলিশের উপস্থিতিতে ড. জাফর ইকবালের ওপর এমন হামলার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েল, সেটা পুলিশ ঠেকাতে পারে নাই, কি করা যাবে? তার চেহারা দেখে তো আর বোঝা যায় না, সে তো ছুরি মেরেছে। ছুরি এমন একটা জিনিস, সেটা লুকানো অনেক সহজ। রাম দা টাম দা হলে হয়তো পুলিশ ধরতে পারতো।’

তিনি বলেন, ‘ইটস ভেরি স্যাড, আমি যখন শুনলাম তার (জাফর ইকবাল) ওপর আক্রমণ হলো তখন আমার ইমিডিয়েটলি রিঅ্যাকশন হলো- এবার বোধ হয় তাকে আমরা হারাতে যাচ্ছি। নট দ্যাট বাট। এরপরে ইট উইল বি ভেরি ডিফিক্যাল্ট। তার ছেলে-মেয়ে আছে। ফলে এটা অনেক অসুবিধা হয়ে যেত।’