পালিয়ে গিয়ে বিয়ে অতঃপর প্রেমিক যুগলের আত্নহত্যা

ভালবেসে বিয়ে করার শাস্তি স্বরূপ গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্য করল প্রেমিক যুগল। ঘটনাটী ঘটেছে রবিবার রাতে দিঘার একটি হোটেল রুমে । রুম থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার দিঘা সংশ্লিষ্ট রামনগর থানার দিকশালের বাসিন্দা প্রদীপ নায়েকের সঙ্গে পালিয়ে যায় সানবালিসাইয়ের হরিপুরের নাবালিকা পৌলমি রাউত। প্রায় সাত মাস প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের। পরে দু’জনের বাড়িতে জানাজানি হয়ে গেলে, দু’পক্ষই তাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি তোলে এবং বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায় । ফলে শুক্রবার তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে প্রদীপ এবং পৌলমি। পরে বাড়িতে না গিয়ে দিঘার একটি হোটেলে উঠেছিল দু’জনে।

প্রদীপ এবং পৌলমির বয়স যথাক্রমে ২৪ এবং ১৭ বছর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রামনগর থানায় প্রদীপের বিরুদ্ধে নিজের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করার মামলা দায়ের করেন পৌলমির বাবা।

প্রদীপের অনুপস্থিতিতে তাঁর বাবা রাজকুমার নায়েককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শনিবার কাঁথি মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ৩ দিনের হেফাজতেও রাখা হয়েছে রাজকুমারকে।

ঘটনার কথা জানতে পেরে রাগে অপমানে সেই দিনেই হোটেল ঘরে গলায় দড়ি দেয় পৌলমি এবং প্রদীপ। বহুক্ষণ ধরে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহের ভিত্তিতে রাতের দিকে যূগলের ঘরের দরজা ভেঙে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে হোটেল কর্মীরা। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।