প্রেমে জালে ফেঁসে দেহ বেঁচতে বাধ্য হল কিশোরী

প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে পাচার হল মালদহের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, অসমের হোটেলে আটকে রেখে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করানো হয়েছে তাঁকে। রাজি না হওয়ায় নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে তার উপরে। কখনও শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা আবার কখনও ছুরি দিয়েও আঘাত করা হয়েছে সেই ছাত্রীকে।

এত কিছুর পরেও, নকল প্রেমিক সেই পরীক্ষার্থীর সম্পত্তি হাতাতে মালদহে আসে। আর তখনই গ্রামবাসীরা সেই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। গ্রামবাসীরাই গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয়। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের কালিয়াচকে।

কালিয়াচকের একটি মাদ্রাসা থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছাত্রীটির। প্রাইভেট টিউশন পড়তে প্রায়ই আসতে হতো কালিয়াচকের জালালপুরে। পথেই স্থানীয় নুরনগর গ্রামের যুবক রহমান মোমিনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর, পরে প্রেম।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসা হয় মালদহে। সেখান থেকে প্রথমে বালুরঘাট। এর পরে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়েই প্রেমিকের আসল চেহারা জানতে পারে সে।

অসমের হোটেলে আটকে রেখে তার উপরে চলে নির্মম অত্যাচার। জোর করে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয় তাকে। নির্যাতিতার দাবি, রাজি না হওয়ায় তাঁকে প্রায়ই শরীরে সিগারেট-বিড়ির ছ্যাঁকা দেওয়া হতো। চাকু দিয়ে আঘাতও করা হতো।

এখানেই শেষ নয়। তাঁকে বিক্রি করা হতে পারে, এমনটাও জানতে পারে ওই ছাত্রী। তখনই পাল্টা সম্পত্তির টোপ দিয়ে ওই যুবককে মালদহের কালিয়াচকের বাড়িতে আনে ওই ছাত্রী। এতেই ফাঁস হয়ে যায় অভিযুক্তের কুকীর্তি।

গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত রহমান মোমিনকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গ্রেফতারের পরে রহমানের থেকে প্রায় ২৫টি সিম কার্ড, একাধিক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, ধৃত যুবক নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত।