ফিজিওথেরাপির নামে চলছে দেহ ব্যবসা

মধুচক্র এখন চিকিৎসাতেও ডুকে পড়েছে । নামে ফিজিওথেরাপি সেন্টার। বাড়ি ভাড়া  সেই  নামেই নিয়ে , রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। জানতে পেরেই তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন এলাকাবাসী। শনিবার বিকেলে হাতেনাতে ধরা খেল পুরুষ ও মহিলা-সহ মোট ১৪ জন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার অন্তর্গত গড়িয়া স্টেশন রোডের বালিয়াতে। ঘটনার খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ এসে আটক করে ধৃতদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

গত নভেম্বর মাসে বালিয়া নফরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের পিছনে অরুণা দাস নামে এক ভদ্রমহিলার বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন রাকেশ ঘরামি নামে এক ব্যক্তি। সেই বাড়িতেই গত কয়েকমাস ধরে ফিজিও থেরাপি সেন্টারের নামে রমরমিয়ে মধুচক্রর আসর চলছিল বলে অভিযোগ।

বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই এই বাড়িতে বহিরাগত বেশকিছু পুরুষ ও মহিলা যাতায়াত করত বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে স্থানীয় মানুষজন এ বিষয়ে মাথা না ঘামালেও, গত কয়েকদিন ধরে এই বাড়িতে বহিরাগত মহিলা পুরুষদের যাতায়াত বেড়েই চলছিল।

যা দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে এলাকার মানুষের মনে। শনিবার দুপুরে ওই বাড়িতে একের পর এক বহিরাগত মহিলা ও পুরুষকে আসতে দেখে ওঁত পেতে ছিলেন এলাকার মানুষজন। কিছুক্ষণ বাড়িটির উপর নজরদারি চালিয়ে অবশেষে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই সবার চক্ষু ছানাবড়া

অন্ধকার ঘরের ভিতরে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায় ন’জন মহিলা ও পাঁচজন পুরুষকে। তাদেরকে আটকে রেখে স্থানীয়রাই খবর দেন সোনারপুর থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধৃতদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিককেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ফিজিওথেরাপির নামে বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হলেও তার সম্পর্কে বাইরে কোনরকম বোর্ড বা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি।