বিমান বিধ্বস্তে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো ইউএস বাংলা

গতকাল সোমবার নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ জন যাত্রী নিহতে কথা নিশ্চত করেছে নেপালি কর্তৃপক্ষ। তবে ইউএস বাংলা এখনও তা নিশ্চিত করছে না।

ইউএস বাংলার কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে আট জনের ম্যাসেজ আছে। অথেনটিক তথ্য ছাড়া আমরা আপনাদেরকে জানাতে পারি না। তবে নেপালের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৪৯ জনের তথ্য আছে। যেহেতু আমাদের একটি টিম এখন কাঠমান্ডুতে পৌঁছে গেছে, আপনাদেরকে আমরা এখন সঠিক তথ্য জানাতে পারব।’

এদিকে নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটানায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ। সংস্থাটি বলছে নিহতদের মরদেহ এবং যারা আহত হয়েছে তাদের যত দ্রুত সম্ভর দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম দুর্ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারায় ইউএস বাংলার করপোরেট কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের একটা টিম কাঠমান্ডুতে পৌঁছে গেছে। আমরা সহজে এখন সব কিছু করতে পারব। আমাদের সিনিয়রদের সিদ্ধান্ত ছিল সমস্ত ডেডবডি এবং যারা আহত হয়েছে, তাদেরকে দ্রুত নিয়ে আসবে। তাদের চিকিৎসার খবরও নেয়া হচ্ছে। আমাদের ঘোষণা হলো ইউএস বাংলার খরচে সবার চিকিৎসা করা হবে।’

বিমানের যাত্রীদের বিমার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএস বাংলার কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রত্যেকটা এয়ারক্রাফটের ইন্সুরেন্স কাভারেজ থাকে। নিশ্চয় এই ফ্লাইটের সব যাত্রীর ইন্সুরেন্স করা ছিল। সে অনুপাতেই ম্যানেজমেন্ট দেবে। ক্ষতিপূরণ ম্যানেজমেন্টের ডিসিশন। তবে এ বিষয়ে নানা প্রক্রিয়া আছে। ইট উইল টেক টাইম।’

এই দুর্ঘটনার প্রতিষ্ঠানের বিমান পরিচালনায় কোন ধরনে প্রভাব পড়েছে কিনা জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সব ফ্লাইট নরমাল সিডিউল অনুযায়ী চলছে। কিছুক্ষণ আগেও সকালে একটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করতে পারে। তবে গত সাতে তিন বছরে ইউএস বাংলা ৩৬ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশে ইউএস বাংলা একটি নিরাপদ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে। একটা এক্সিডেন্ট যে কোনো সময়, যে কোনো কারণে হতে পারে। এ জন্য একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে পারে না। এ বিষয়ে আমরা আপনাদের (গণমাধ্যমের) সহযোগিতা চাই।’