রোববার থেকে নিহতদের লাশ শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ শুরু

ডেস্ক প্রতিবেদন: সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি। নেপাল উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহতদের লাশ শনাক্তে তাদের স্বজনদের থেকে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সিআইডি।

পুলিশের ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের উপ প্রধান আহমেদ ফেরদৌস বলেন, “নিহতদের শনাক্ত করা প্রয়োজন। আর সে কারণে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তাদের থেকে রক্ত অথবা মুখের লালা সংগ্রহ করা হবে। এজন্য স্বজনদের সিআইডি কার্যালয়ে এসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।”

নিহতদের মরদেহ কবে দেশে আনা হবে সে অপেক্ষায় আছেন তাদের স্বজনরা। উড়োজাহাজে আগুন ধরে পুড়ে যাওয়ায় কারও কারও মরদেহ শনাক্ত করতে স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ মেলানোর দরকার হতে পারে বলে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জানিয়েছেন।

বুধবার পর্যন্ত নিহতদের ১৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার তথ্য জানিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেছেন, বাকিদের ময়নাতদন্তে আরও কয়েক দিন লাগবে। মরদেহ শনাক্ত হলে পর্যায়ক্রমে দেশে আনা হবে।

লাশ শনাক্তে নিহতদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য পুলিশের একটি দলকে নেপালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠকে।
এরইমধ্যে নয় সদস্যের একটি দল কাঠমুন্ডু গেছে বলে সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন। তারাও সেখানে নিহতদের নমুনা সংগ্রহ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”