সেমিফাইনাল পেরোতে চাই এশিয়ার বাঘ ক্ষ্যত দক্ষিণ কোরিয়া

এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ফেবারিট দল দক্ষিণ কোরিয়ার। ত্বে কথা সত্য দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া এশিয়ার ফুটবলের কথা ভাবাই যায় না। দক্ষিণ কোরিয়ার ডাকনাম ‘এশিয়ার বাঘ’। দক্ষিণ কোরিয়া এবার নিয়ে মোট দশবার ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। সেই সাথে তারা সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া একই সাথে এশিয়ার সবচেয়ে সফলতম একটি জাতীয় ফুটবল দল । দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপে দলটি একমাত্র এশীয় দল যারা বাছাই পর্বে কোনো খেলায় না হেরেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এছাড়াও দলটি এএফসি এশিয়ান কাপের প্রথম দুই

দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ার অন্যতম ফুটবল পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। এশিয়ার বেশ কয়েকটি সম্মানজনক ফুটবল প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেছে এই দলটি। এর মধ্যে আছে প্রথম দুইবারে এশিয়ান কাপ জয়। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াই এশিয়ার একমাত্র দল যারা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে ধারাবাহিকভাবে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলে আসছে।

১৯৫৪ সালে দলটির প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় তারা হাঙ্গেরি ও তুরস্কের বিপক্ষে দুটি খেলা অংশ নেয়। দুটি খেলাতেই তারা যথাক্রমে ৯–০ ও ৭–০ গোলে পরাজিত হয়। এরপর ৩২ বছর পরে তারা আবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পায়। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তারা দ্বিতীয় বারের মতো অংশ নেয়। এবার তারা তুলনামূলকভাবে ভালো করে। প্রথম খেলায় তারা আর্জেন্টিনার সাথে ৩–১ গোলে পরাজিত হয়, দ্বিতীয় খেলায় বুলগেরিয়ার সাথে ১–১ গোলে ড্র করে এবং তৃতীয় খেলায় ইতালির সাথে ৩–২ গোলে পরাজিত হয়।

তবে এবার তাদের লক্ষ্য, সেমিফাইনাল তারা টপকাতে চায় এশিয়ার ফ্যাবারিট হিসাবে ব্রাজিল আর্জেটিনার পর বাংলাদেশিদের সমর্থন এই দল্টির উপরই থাকবে।