স্বামি বাড়ি না থাকায় এ কি কাণ্ড ঘটালেন স্ত্রী

প্রথমে আসে একটা দুটো ফোন। পরে তার পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ‘চাহিদা’র পরিমাণও। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে রেহাই পেলেন মহিলা।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানা যায় , গুজরাতের আহমেদাবাদের বাসিন্দা এক মহিলা সম্প্রতি পুলিশে অভিযোগ করেন যে, তাঁর ফোন নম্বর এসকর্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ওই মহিলার অভিযোগ, প্রথম ফোনটি আসে কয়েকদিন আগে। ফোনে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে আপত্তিজনক কথা বলছিলেন। কিন্তু তিনি তোয়াক্কা করেননি। পরে ফোনের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে।

এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। কিন্তু তার পরেও বিপাকে পড়েন তিনি।

নম্বরের পাশাপাশি ওই মহিলার ছবিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল সাইটে। দুটি এসকর্ট সাইটেও দিয়ে দেওয়া হয় ওই মহিলার নম্বর। সেখানে মহিলা ছবি দিয়ে বলা হয়, আমার স্বামী ১৭ দিনের জন্য বাইরে গিয়েছেন, আমি এই ১৭ দিন একা রয়েছি।

ওই মহিলার অভিযোগ, প্রায় ১৫ হাজার ফোন আসে তাঁর কাছে। সেইসঙ্গে প্রচুর অশালীন মেসেজেও আসতে থাকে তাঁর কাছে। শুধু এদেশই নয়, বাইরের দেশ থেকেও তাঁর কাছে ফোন আসে বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা।

এর পরেই নড়চড়ে বসে পুলিশ। তদন্তে নেমে এক কিশোরকে গ্রেফতার পুলিশ। সেই কিশোর ওই মহিলার পাড়াতেই থাকে বলে জানা গিয়েছে। কোনও ভাবে ওই মহিলার নম্বর জোগাড় করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।

তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেন সে এই কাজ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।