১৯৭৯ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ল জিম্বাবুয়ে

বিশ্বকাপ বাচাইপর্বে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে শেষপর্যন্ত ৩ রানে হারে ১৯৭৯ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ল টেলর-সিকান্দার রাজাদের জিম্বাবুয়ে।

বৃষ্টির আইনে ২৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ের শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। প্রথম ৫ বল থেকে জিম্বাবুয়ে নিয়েছিল ৯ রান। শেষ বলে জয়ের জন্য ৬ রান দরকার হলেও স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ক্রেইগ আরভিন ২ রানের বেশি নিতে পারেননি। ফলে ৩ রানের হারে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ গ্রায়েম ক্রেমারের দলের।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৫ রান করেছিল আরব আমিরাত। বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪০ ওভারে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩০। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২২৬ রানে তুলতেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। আর তাতেই ৩ রানের হারে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় অভিজ্ঞ এ দলটির।

সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে হারায় আর কোনো আশা বাকি থাকল না জিম্বাবুয়ের। কেননা জিম্বাবুয়ের নেট রান রেট (০.৪২) এখন আয়ারল্যান্ডের (০.৪৭ চেয়েও কম। আগামীকাল আয়ারল্যান্ড আর আফগানিস্তানের মধ্যকার সুপার সিক্সের ম্যাচে জয়ী দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার টিকিট পাবে। আর ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে নেট রান রেটে বিশ্বকাপে খেলবে আয়ারল্যান্ড। কারণ আফগানিস্তানের নেট রান রেট (০.৩৪) আয়ারল্যান্ডের চেয়ে কম। এদিকে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতে সবার আগেই সুপার সিক্স নিশ্চিত করে বসে আছে উইন্ডিজ।

জিম্বায়ের হয়ে সেন উইলিয়ামস সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ৮০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় এ ইনিংসটি খেলেন তিনি। এছাড়া পিটার মুর ৩৯, সিকান্দার রাজা ৩৪, ব্রেন্ডন টেলর ১৫ রান করেন। ১৭ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকা ক্রেইগ আরভিন দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন রামেজ শাহজাদ। ৬১ বলে ৪টি চার ২ ছক্কায় ৫৯ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন গুলাম শাব্বের। এছাড়া সাইমান আনোয়ার ৩৩, রোহান মুস্তফা ৩১ ও মোহাম্মদ নাভেদ ২২ রান করেন।