ক্যাট-সালমনের গোপন সম্পর্কে কন্যাসন্তান, অ্যাশ-অভিষেকের ডিভোর্স! সত্যিটা কী

নতুন মাসের শুরু। নতুনকে আবাহন করার সন্ধিক্ষণ রবিবারেই। এর মধ্যেই দেশ তোলপাড়, জোড়া ঘটনায়! সলমন খান নাকি আগে থেকেই বিবাহিত ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে, ডিভোর্সের জন্য নাকি আদালতের দ্বারস্থ অভিষেক-ঐশ্বর্য! এক দশকের সম্পর্কের ইতি ঘটিয়ে বিচ্ছেদের পথে দেশের অন্যতম ‘হাইপ্রোফাইল কাপল’।

স্পষ্ট করে দেওয়া ভাল, সলমন-ক্যাটরিনা, ঐশ্বর্য-অভিষেক বলিউডের অন্যতম চার আলোচিত ব্যক্তিত্বের ব্যক্তিগত সম্পর্কের এমন উথাল-পাথাল করা খবর কিন্তু একদমই সত্যি নয়! ‘এপ্রিল ফুলস ডে’-তে নির্ভেজাল মজা করার জন্যেই দেশের বেশ কিছু প্রচারমাধ্যম এমন সংবাদ পরিবেশন করে।

শুরু করা যাক, সল্লু-ক্যাটের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে মুচমুচে সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। দেশের প্রথমসারির এক টিভি চ্যানেলের ওয়েবসাইটের হেডিং দেখে সাতসকালেই ভিরমি খাওয়ার জোগাড়! বড় বড় অক্ষরে শিরোনাম, ‘‘সলমন-ক্যাটরিনা ইতিমধ্যেই বিবাহিত। অভিনেতা স্বীকার করলেন, তাঁদের সন্তানও রয়েছে।’’

সেই প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে, সলমন-ক্যাটরিনার সম্পর্ক নিয়ে আর কোনও লুকোছাপা নেই। বেশ কয়েকবছর দু’জনে ডেটিং করার পরে বিচ্ছেদের রাস্তায় হাঁটেন। অভিনেত্রী তারপরেও রণবীরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যদিও সেই সম্পর্কে বেশিদিন টেকেনি।

ব্রেক আপের পরেই নাকি মিঁয়া-বিবি ফের কাছাকাছি আসেন ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন। সলমন নিজেই পরে ফাঁস করে দেন, তাঁর ক্যাটরিনার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে বেশ কিছু কারণের জন্যেই প্রকাশ্যে আসেনি দুই সিনে-তারার গোপন ‘সম্পর্ক’! এর পরে স্বয়ং সলমনের ‘কোট’ ব্যবহার করা হয় সেই প্রতিবেদনে, ‘‘ক্যাটরিনাকে সবসময়ে ভালবেসে এসেছি। সাম্প্রতিক কালে ফের আমাদের সম্পর্কে জোয়ার আসে। অতীতের সমস্ত খারাপ সময় ভুলে কাছাকাছি আসি দু’জনে। আমাদের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হঠাৎ করেই নেওয়া। আমরা বর্তমানে ভীষণই খুশি।’’

এরপরে সলমনের সংযোজন, ‘‘অনেকেই হয়তো আশ্চর্য হবে এটা জেনে যে আমাদের ছোট এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। কয়েকমাস আগেই সারোগেসির মাধ্যমে আমাদের জীবনে আসে ও। তোমরা অনেকেই হয়তো জানতে, সবসময়েই আমি সন্তান চাইতাম।’’

দ্বিতীয় ঘটনা আরও ভয়াবহ! এক সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রভাতী খবরের শিরোনামে বলা হয় বিবাহবিচ্ছেদের মুখে অভিষেক-ঐশ্বর্য। সেখানে সম্পর্কের একাধিক রসালো দিক নিয়ে বৈঠকি মেজাজে লেখা হয় নানা ভুয়ো তথ্য। সিনেমায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়, পরিবারে আপত্তি, শ্বশুরমশাইয়ের টুইটারে পারিবারিক অশান্তির ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট, ‘খলনায়িকা’ শাশুড়ির পুত্রবধূর প্রতি ডমিনেটিং মনোভাব, সন্তানের দায়িত্বভার নিয়ে কাজিয়া। এবং তারপরেই আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা।

দুই প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেই একদম শেষে ডিসক্লেমার দিয়ে পরে অবশ্য স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, এপ্রিল ফুলস ডে-তে যাতে পাঠকরা বিভ্রান্ত না হন।