চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে কর্মরত স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা অফিস কক্ষে নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (৭ মে) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। তবে র্যাব বলছে, নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পলাশ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে র্যাব–৬–এর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে লাশবাহী গাড়িতে পলাশ সাহার লাশ কোটালীপাড়া উপজেলার তাড়াশি গ্রামে পৌঁছায়। পরে ওই র্যাব কর্মকর্তার মা আরতী সাহা ছেলের কপালে চুমু খেয়ে আহাজারি করেন এবং বলেন, আমাকে আমার বাবার কাছে নিয়ে যাও, তাকে একটু ছুঁয়ে দেখি। সে কোন অভিমানে আমাকে ছেড়ে চলে গেল।
এ সময় তাকে দেখতে সহপাঠী, প্রতিবেশী ও স্বজনেরা বাড়িতে ভিড় করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের পর শেষকৃত্যের জন্য মরদেহ পৌরসভার পাড়কোনা মহাশ্মশানে নেওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুরে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তার রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’
জানা গেছে, পলাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার এবং ৩৬তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ছিলেন। এমনকি সাবরেজিস্টার, এডিসহ ১ম শ্রেণির কয়েকটি চাকরিতে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও ঘটনার সময় তিনি র্যাবে কর্মরত ছিলেন।