দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ব্যর্থতার বিষয়টি সামনে আসার পর খোদ খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান উদ্যোগী হয়েছেন।
বিএনপির আইনজীবীদের প্রতি অভিযোগ, খালেদার জামিন নিতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। উচ্চ আদালতে জামিনের ক্ষেত্রে মামলার নথি-পত্র আসার যে একটা বিষয় রয়েছে সেটি তারা কিভাবে এড়িয়ে গেলেন তা নিয়ে সমালোচনা চলছে।
এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ড. কামাল হোসেনের সহায়তা চায় বিএনপি। জানা গেছে, খোদ খালেদা জিয়াই নাকি ড. কামালকে তার মামলায় আইনজীবী বানানোর জন্য আত্মীয়দের মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ড. কামাল তাতে রাজি হননি।
এদিকে নিজের মাকে কারাবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করতে এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তিনি চাইছেন লন্ডনের কোনো আইনজীবী খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে কাজ করুক। এজন্য তিনি লন্ডনের বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানা গেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের সত্যায়িত কপি লন্ডনে তারেক রহমানকে ২০ ফেব্রুয়ারি মেইল করা হয়। এরপর সেখানে তারেক একাধিক ক্রিমিনাল ল’ইয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনকে টেলিফোনে বিদেশি আইনজীবী নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তারেক।
উল্লেখ্য, বার কাউন্সিলের বিধান অনুযায়ী, বার কাউন্সিলের সনদ ছাড়া কেউ বাংলাদেশের কোনো আদালতেই আইন পেশায় অংশ নিতে পারে না। তবে, কোনো বিদেশি আইনজীবী মামলা লড়তে চাইলে তাঁকে বার কাউন্সিলের অনুমতি নিতে হয়। এর আগে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষ থেকে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের আবেদন জানানো হয়েছিল।
অ্যাডভোকেট জয়নুল অবশ্য এখনই বাইরের আইনজীবী আনার প্রয়োজন নেই বলে তারেক রহমানকে জানিয়েছেন।