শ্রীদেবীর মৃত্যু, চার রহস্যের উত্তর অজানা

প্রথমে জানা গিয়েছিল দুবাইয়ের হোটেলে আত্মীয় মোহিত মারওয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে হোটেলে ফিরে হৃদরোগে মারা গিয়েছেন বলিউড স্টার শ্রীদেবী।
কিন্তু দুবাই পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালের বাইরে মৃত্যু হলে নাকি ময়নাতদন্ত করা আবশ্যিক। সেই অনুসারেই শ্রীদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়।
তার পরেই ঘুরে গিয়েছে শ্রীদেবীর মৃত্যু রহস্য। কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বাথটাবের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এই বলিউড অভিনেত্রীর।
যে চারটি রহস্য এখনও অধরা থেকে যাচ্ছে:
• বাথটাবের জলে পড়ার আগেই কি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন শ্রীদেবী? ফরেনসিক রিপোর্ট কিন্তু বলছে জলে পড়ে জ্ঞান হারান এই অভিনেত্রী। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কথা বলছেই না ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। কী কারণে জ্ঞান হারালেন তার ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি।
• দুবাই পুলিশের দাবি, শ্রীদেবীর রক্তে মদের নমুনা মিলেছে। তাহলে কী মত্ত হয়েই বাথটাবের জলে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি? তার পরেই কি দুর্ঘটনা? কিন্তু কপূর পরিবারের বন্ধু ও রাজনীতিক অমর সিংহের দাবি, শ্রীদেবী মদ খেতেন না। মাঝে মাঝে একটু আধটু ওয়াইন খেতেন। ফলে মত্ত হওয়া অস্বাভাবিক।

• বাথটাবের জলে পড়ার পরেই কি শ্রীদেবীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল? তাও স্পষ্ট নয় এখনও। এর মাঝেই হোটেলের রুম সার্ভিসের এক কর্মীর বয়ান ঘিরেও রহস্য বাড়ছে। সেই ব্যক্তির দাবি ছিল, শ্রীদেবী মিনারেল ওয়াটারের বোতলের জন্য ফোন করেছিলেন রুম সার্ভিসে। কিন্তু সেই কর্মী গিয়ে দরজায় টোকা মারলেও দরজা খোলেননি শ্রীদেবী। পরে দরজা ভাঙতে হয়। তখন দেখা যায় তিনি বাথরুমের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তখনও নাকি শ্রীদেবীর পালস পাওয়া গিয়েছিল। তাহলে কী অভিনেত্রী তখনও বেঁচে ছিলেন?
• আবার কোথাও বলা হচ্ছে, বনি কপূর হোটেলের ঘরে গিয়ে শ্রীদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তাহলে তিনি কি মৃত্যুর সময়ে শ্রীদেবীর পাশে ছিলেন?
এত প্রশ্নের উত্তর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। দুবাই প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। ফলে এখনও পর্যন্ত শ্রীদেবীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়নি দুবাই পুলিশ।