একসাথে ১৬ নারীর ফাঁসির রায়

আইএস জঙ্গিদের স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছিল ১৬ জন তুর্কি যুবতী। এই অপরাধে ১৬ জনকেই ফাঁসির সাজা শোনাল ইরাকের আদালত। ইরাকে আইএস জঙ্গিদের বিয়ে করা দণ্ডনীয় অপরাধ। সাধারণত কোনও মহিলা যদি আইসিস জঙ্গিদের বিয়ে করে, তাহলে সেই মহিলার আজীবন কারাবাস অথবা ফাঁসির শাস্তি হবে। এমনটাই বলছে ইরাকি আইন।

ওই ১৬জন যুবতীকে কয়েকদিন আগেই গ্রেপ্তার করে ইরাকি সেনা। তখনই জানা যায়, ১৬জনই আইসিস জঙ্গি। তারা আইসিসের চরমপন্থী ভাবধরায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখায়। পাশাপাশি আইএস জঙ্গিদের বিয়েও করে। ধৃত ১৬জনের কি সাজা হতে পারে, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল কয়েকদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত রবিবার ইরাকের কেন্দ্রীয় ফৌজদারী আদালত ওই মহিলা জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। এজলাসে বিচারপতি আবদুল সাত্তার আল বেরাকদার ধৃতদের সাজা শোনান। শুনানির সময় ১৬জনই স্বীকার করে নিজেদের অপরাধ। জানিয়ে দেয়, কোনওরকম জোরাজুরি নয়। স্বেচ্ছায় আইসিস জঙ্গিদের বিয়ে করেছে তারা। জঙ্গি প্রশিক্ষণও হয়েছে তাদের। সুযোগ পেলে আত্মঘাতী হামলা চালাতেও বদ্ধ পরিকর। কিন্তু কোনও রকম নাশকতার ছক কষার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করে সেনা। এরপরেই ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৭-র ডিসেম্বরে সেনা ও সরকারের তরফে ইরাককে আইসিস জঙ্গি মুক্ত ঘোষণা করা হয়। বলে হয়, ইরাকের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে থাকা আইসিস জঙ্গিদের পুরোপুরি খতম করা হয়েছে। আইএসয়ের দখলে আর কোনও এলাকা নেই। যুদ্ধের পর নানা দেশের নানা বর্ণের কয়েকশো মুসলিম মহিলা ইরাকি সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এদের বেশিরভাগেরই বিচার চলছে। অনেককেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম একসঙ্গে এতজনকে ফাঁসির সাজা দিল ইরাকি আদালত।