এটা আমাদের দিয়ে দাও

১৯৩০ বিশ্বকাপ। উরুগুয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতে উরুগুয়ে। সেবার ট্রুনামেন্টে ১৩টি দল অংশ নিয়েছিল। আসছে ২০৩০ সালে আবারো বসবে বিশ্বকাপ ফুটবল। এটি হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ১০০ বছর পূর্তিতে। আর এই বিশ্বকাপটি তাই আয়োজন করতে মরিয়া প্রথম আসরের দুই ফাইনালিষ্ট উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনা যৌথভাবে। এজন্য তারা ফিফার কাছে আবেদনও জানিয়েছে।

যদি এই ট্রুনামেন্ট দুই দেশে আয়োজিত হয় তাহলে কেমন হবে? আর্জেন্টিনার এক ভক্ত পল বুথ বলেন, আমি মনে করি ফিফা এটা করতে আগ্রহী হবে। বিশ্বকাপের ১০০ বছর উৎযাপন করার জন্য এটা হতে পারে দুর্দান্ত।

এদিকে প্রথম সেই ট্রুনামেন্টে দল মাত্র ১৩টি হলেও ২০৩০ সালে দল হতে পারে ৪৮টি। আর্জেন্টিনা সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৬ সালে। কিন্তু এরপর আর তারা জিতেনি এই সোনালী ট্রফি। এবার মেসিরা আর্জেন্টিনার আক্রমন ভাগে আসার পর অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন তাদের অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলছে।

তেমনই একজন ফার্নান্দেজ লোভাটো। তার বিশ্বাস, মেসির হাত ধরেই ঘোচাবে বিশ্বকাপ জয়ের হাহাকার।

আর্জেন্টিনার সর্বশেষ বিশ্বকাপ এসেছিল ম্যারাডোনার হাত ধরে। এরপর আরে আসেনি কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি। মেসিরা পাড়েনি না পাওয়া ট্রফি এনে দিতে। কিন্তু দেশের জার্সিতে ট্রফি না জিতলেও মেসির জয় জয়কার সর্বত্র। অনেকেই এখন ম্যারাডোনার চেয়ে মেসিকে সেরা হিসেবে মেনে নিচ্ছেন এক বাক্যে। তবে এ নিয়ে ভিন্নমত লোভাটোর। তিনি বলেন,

” আমি ম্যারাডোনাকে খেলতে দেখেছি বোকা জুনিয়র্সে। সে ছিল চ্যাম্পিয়ন। সে জিতেছে বিশ্বকাপ। তাই আমি আমার দেখা সেরা খেলোয়ার হিসেবে ম্যারডোনাকেই বেছে নিব।”

এদিকে লিওনেল মেসি হয়তো ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের আগেই অবষর নিবেন ফুটবল থেকে। কিন্তু ফিফা যদি আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের কথা শুনে দুই দেশে আবারো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে রাজি হয়, তাহলে কে জানে, হয়তো মেসি পরবর্তি আর্জেন্টিনাই আরেকটি ইতিহাস তৈরি করতে পারে।