শ্রী দেবীকে ‘বাজে মা’

দুবাইতে ভাগ্নে মোহিত মারওয়ার বিয়েতে গিয়ে আর দেশে ফিরতে পারলেন না শ্রীদেবী। কফিন বন্দি হয়ে ভারতে ফিরছে শ্রী-র নিথর দেহ। দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলের ঘর থেকে শনিবার উদ্ধার করা হয় শ্রীদেবীর মৃতদেহ। দুবাইতে ছোট মেয়ে খুশি কাপুরকে নিয়ে গেলেও, বড় মেয়ে জাহ্নবী মা-কে শেষ দেখাও দেখতে পাননি। ‘ধড়ক’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় বনি কাপুর এবং শ্রীদেবীর সঙ্গে দুবাই যেতে পারেননি জাহ্নবী। তাঁর জন্য কেনাকাটা করতে গিয়েই নাকি দুবাইতে রয়ে যান শ্রী। কিন্তু, মেয়ের সঙ্গে তাঁর আর শেষ দেখা হয়নি।

শুটিং সেটে মায়ের মৃত্যুর খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহ্নবী। তারপর থেকেই সামলানো যাচ্ছে না তাঁকে। পরম যত্নে এই মুহূর্তে করণ জহরই জাহ্নবী কাপুরের দেখাশোনা করছেন বলে খবর। কাকা অনিল কাপুরের বাড়িতেই রয়েছেন জাহ্নবী। এবং, সেখানেই করণ তাঁর দেখাশোনা করছেন বলে খবর। কিন্তু, শ্রী-এর সঙ্গে বড় মেয়ে জাহ্নবীর সম্পর্ক কেমন ছিল জানেন?

‘ধড়ক’-এ জাহ্নবীর অনস্ক্রিন মা শালিনী কাপুর জানিয়েছেন, শ্রীদেবীর মেয়ে নাকি মা ছাড়া কিছু চেনেন না। মায়ের কথামতই জাহ্নবী সব সময় চলাচল করেন বলেও জানান শালিনী। কিন্তু, শ্রীদেবীকে কোনও এক সময় ‘বাজে মা’ বলে সম্মোধন করেন জাহ্নবী। জানেন সেই কথা?

মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাতকারে শ্রী বলেন, জাহ্নবীর যখন ৬ বছর বয়স, সেই সময় ছোট্ট মেয়ে নাকি মায়ের সঙ্গে ৩ দিন ধরে কথা বলেননি। কিন্তু কেন? শ্রীদেবী বলেন, ওই সময় ‘সদমা’ দেখে ফেলেছিলেন জাহ্নবী। এবং ওই সিনেমায় মা যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তা একেবারেই না-পসন্দ ছিল জাহ্নবীর। সেই কারণেই মায়ের সঙ্গে টানা ৩ দিন কথা বলা বন্ধ করে দেন জাহ্নবী। পরে অনেক বুঝিয়ে ফের মুখে কথা ফোটান শ্রী।