১৯ বছর বয়সী বোলারের তান্ডবে হারলো আশরাফুলরা

কিছুদিন আগেই আন্ডার-১৯ বিশ্বকাপ খেলে এসেছিলেন হাসান মাহমুদ। আর বিশ্বকাপ খেলে আসার পরেই ডাহাক প্রিমিয়ার লীগে নাম লেখান খেলাঘরে। আর আজ খেলাঘরের হয়েই জাদু দেখান নতুন প্লেমেকার এই বোলার। আজ বল হাতে একাই তুলে নেন তিন উইকেট। আর একাই ধসিয়ে দেন আশরাফুলের দল কলাবাগানকে। কলাবাগানকে হারতে হয় ১৫ রানে।

আগে ব্যাট করা খেলাঘরের দেয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে কলাবাগানকে।ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতেই উপরের সারির পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা কলাবাগানের হয়ে একা লড়েছেন তাইবুর ও আবুল হাসান। ৩৪ রানে ৭ উইকেটের দল থেকে কলাবাগানের স্কোর ১৭০ রানে নিয়ে পৌঁছে দিয়ে আউট হয়েছে আবুল হাসান রাজু।অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় ৭৬ রান যোগ করেছেন তিনি। সঙ্গী তাইবুর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ৮১ রানের ইনিংস খেলেছেন। অবিশ্বাস্য জুটি গড়ে কলাবাগানকে প্রায় জিনিয়ে দিয়েছিল এই জুটি। কিন্তু ৪৭তম ওভারে তাইবুরের বিদায়ে আশাভঙ্গ হয় কলাবাগানের।

শেষের দিকে সঞ্জিত সাহা ৩১ রান যোগ করে শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে পেরেছে। শেষ পর্যন্ত ১৫ রানে জিতেছে খেলাঘর। খেলাঘরের হয়ে তরুন প্রতিভা হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন। রবি ও আঞ্জুম নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।জিতলেও আগে ব্যাট করা খেলাঘরও ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। একমাত্র অমিত মজুমদার ও আল মানারিয়া বাদে কেউই ভালো করতে পারেনি। স্রোতের বিপরিতে দাঁড়িয়ে আল মানারিয়া খেলেছেন ৯৫ রানের ইনিংস। ৪২ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অমিত মজুমদার। রাহাতুল , মুক্তার আলি ও নাহিদ ছিলেন বল হাতে কলাবাগানের নায়ক।