অবশেষে শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর

এভাবে আর একসাথে আর দেখা যাবেনা বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা জুটি শাকিব-অপুকে। কারণ আজ ১২ মার্চ শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে করেন শাকিব-অপু। ৯ বছর বিয়ের খবর গোপন রাখে গত বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু। তার পর থেকেই শাকিব-অপু সম্পর্কের অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত এই অবনতি বিচ্ছেদে রুপ নিলো।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন সোমাবার ১২ মার্চ শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘আজ সোমবার শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মামলাটি খারিজ করবো। আজ আমাদের তৃতীয় ও শেষ তারিখ ছিলো। এর আগে দু’বারে তাদের তলব করা হয়, প্রথমবার অপু বিশ্বাস এসেছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় তারিখে কেউ আসেনি। আজ এখন পর্যন্ত শাকিব-অপুর পক্ষে কেউ আমাদের সাথে যোগযোগ করেনি। যদিও এক পক্ষের কেউ এসে কোন লাভ নেই। পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হচ্ছে আজ।’

শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ বিষয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘শাকিব খান গত বছরের ২২ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করেন। শাকিব খান যেদিন স্বাক্ষর করেছিলেন, সেদিন থেকে তিন মাস পর কার্যকর হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা সিটি করপোরেশন তাদের তিন মাসে তিনবার ডাকব, সেই তৃতীয়বার বিষয়টির ফয়সালা হবে। সেই হিসেবে আজ তাদের বিচ্ছেদ কার্যকর হচ্ছে।’

এর আগে শাকিব খান গত বছরের ডিসেম্বরে অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠান। তালাকের একটি কপি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পাঠানো হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর একটি চিঠির মাধ্যমে সিটি করপোরেশনে ১৫ জানুয়ারি হাজির হতে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে বলা হয়। সেদিন শুধু অপু বিশ্বাস সিটি করপোরেশনে যান। শাকিব খান তখন থাইল্যান্ডে একটি ছবির গানের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দ্বিতীয়বার ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ডাকা হলে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস দুজনে অনুপস্থিত থাকেন। আজ ১২ মার্চ তৃতীয় ও শেষবারের জন্য তাঁদের আবারও ডাকা হয়েছে। বেলা বারোটা নাগাদ কেউ উপস্থিত না হওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হয়।