ফেসবুকে বিমান দুর্ঘটনার শোক জানালেও ২৪ ঘন্টা পরও স্ত্রীর মৃত্যুর খবর ‘জানেন না’ স্বামী

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে। তবে এই ঘটনায় নেপালে বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী বিলকিস আরা মিতুর (২৬) স্বামী ২৪ ঘন্টায়ও জানতে পারেনি যে ওই বিমানে ছিল তার স্ত্রী। এ দুর্ঘটনা দেশে-প্রবাসে সবাইকে নাড়া দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নিজেদের মর্মাহত হওয়ার কথা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

বাদ ছিলেন না মিতুর স্বামী নিউইয়র্কে বসবাসরত আজিজুল হকও। কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিধ্বস্তের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাসে ২৪ ঘণ্টা আগে (এ রিপোর্ট লেখার সময়) নিজের মর্মাহত হওয়ার কথা লেখেন আজিজুল। তিনি এখনও জানেন না, তারই প্রিয়তমা স্ত্রী মিতু সেই বিমানেরই যাত্রী ছিলেন।

ফেসবুকে এক পোস্টে আজিজুল হক লিখেছিলেন- ‘মাঝে মাঝে কিছু সকাল অভিশপ্ত মনে হয়। তেমনি একটা সকাল শুরু হল দুটি অত্যন্ত বাজে মর্মান্তিক দুঃসংবাদ দিয়ে। ঢাকার মিরপুর-১২ আগুনে পুড়ে তছনছ, আবার ইউএস-বাংলার একটি বিমান নেপালের কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয়েছে যাতে অনেক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

রাজশাহীর শাহ মাখদুম থানার সপুরা এলাকার নওদাপাড়া রোডের মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও মনোয়ারা বেগমের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মিতু ছোট। তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর বিসি-০০৪৯০৩০। নিউইয়র্কের হাডসনে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন মিতু। দিন কয়েক আগে মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর সোমবার নেপালে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় থাকার সুবাদে মিতু ছিলেন নিউইয়র্কে অনেকের পরিচিত। তার মৃত্যু সংবাদে নিউইয়র্কের ঘনিষ্ঠজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মিতুর স্বামী আজিজুল হক ফায়ারম্যানস এসোসিয়েশন অব দ্য স্টেট অব নিউইয়র্কের স্টাফ নার্স।