বল টেম্পারিংকে সমর্থন দিয়ে আইসিসির বিপক্ষে বাশার!

বল টেম্পারিংয়ের অপরাধে এক টেস্টের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের অপরাধে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করার কারণে চলমান সিরিজে অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

এদিকে বল টেম্পারিং ইস্যু নিয়ে যখন গরম ক্রিকেট অঙ্গন, স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন ব্যানক্রফটদের সমালোচনায় ব্যস্ত যখন গোটা বিশ্ব, তখনই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন!

বাশারের মতে পেসারদের সুবিধার্থে একটি নির্দিষ্ট আওতার মধ্যে থেকে বল টেম্পারিং করা খুব একটা অন্যায় নয়। বিশেষ করে পেসাররা সুইং পাওয়ার জন্য এটি করতেই পারে বলে অভিমত তাঁর। এক্ষেত্রে আইসিসিকে আরো নমনীয় হওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি।

হাবিবুল বাশার বল টেম্পারিংকে একটি শিল্প হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, আসলে বল টেম্পারিং…টেম্পারিং করাটা আসলে একটা শিল্প। আমার মনে হয় টেম্পারিং থেকে…আমি যেটা মনে করি যে বলটা মেইনটেইন করা।

বাশারে ভাষ্যমতে বোলারদেরকে আরেকটু স্বাধীনতা দেয়া উচিত। বল টেম্পারিং করে বলের শাইন নষ্ট, কিংবা আকৃতি পরিবর্তন এগুলো অবশ্য সমর্থন করছেন না সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। তাঁর মতে বোলারদের সাহায্যার্থে আরো কিছুটা নমনীয় হওয়া উচিৎ আইসিসির।

হাবিবুল বাশার বললেন, বোলারদের হয়ত একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এখন যদি দেখেন উইকেট অনেক ফ্লাট হয়ে গেছে। এখন বোলারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। নিয়ম কানুন সব বোলারদের বিপক্ষে। আমি বলব না বলের আকৃতি চেঞ্জ করা বা কোন শিরিষ কাগজ ব্যবহার করে শাইনটা নষ্ট করা। সেটা আমি কখনই সমর্থন করি না। বল মেনটেইন করার স্বাভাবিক নিয়মে বোলারদের মনে হয় একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশ দল এই বিষয়ে কখনো জড়িয়েছেক কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচে কখনো তো হয়ইনি। আর ঘরোয়াতেও না… এইগুলা হয় ফার্স্ট ক্লাস লেভেলে। আসলে বলের আকৃতি চেঞ্জ করা সেরকম কিছু দেখিনি। এখন পর্যন্ত আমাদের ছেলেদের এই জিনিসটা দেখিনি। আমরা আসলে অভ্যস্ত না, আমাদের ছেলেরা ওই পথে কখনো হাঁটেনি।’