এমনটাই বলেছেন ইউএস-বাংলার বিমানের বেঁচে যাওয়া যাত্রী বসন্ত বহরা। তিনি রাস্বিত আন্তর্জাতিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের একজন কর্মকর্তা।
বসন্ত বলেন, প্লেন থেকে বের হওয়ার পর যা কিছু ঘটেছে, তার কিছুই মনে নেই আমার। কারা যেন আমাকে সিনামঙ্গল হাসাপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে আমার বন্ধুরা আমাকে নর্ভিকে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আমি মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়েছি। কিন্তু আমি ভাগ্যবান, কারণ কঠিন একটা সময় পার করতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিমানটিতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ১৬ জন নেপালি ছিলেন। আমরা ট্রেনিংয়ের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে। ৪ ক্রুসহ ৬৭ আরোহীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
নেপালের পুলিশের মুখপাত্র মনোজ নুপেন প্রাথমিকভাবে ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছেন। ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো নয়জন মারা গেছেন। এছাড়া ২৭ জন মারাত্মক আহত এবং ১০ জন নিখোঁজ আছেন।