১৯৮৯ সালের এই দিনে চট্টগ্রামে জন্ম নেন তামিম। এখন পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ৫৪টি টেস্ট খেলেছেন। ২০০৮ সালে টেস্টে অভিষেক হবার পর নামের পাশে রয়েছে ৩ হাজার ৯৮৫ রান। সর্বোচ্চ স্কোর ২০৬। রয়েছে ৮টি শতক ও ২৫টি অর্ধশতক। ব্যাটিং গড় ৩৮.৬৮।
জিম্বাবুয়ের মাটিতে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তামিমের। ১৬২ ওয়ানডে থেকে করেছেন ৬ হাজার ১৮ রান। সর্বোচ্চ ১৫৪ রান। রয়েছে ৯টি শতক ও ৪১টি অর্ধশতক। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মোট ৬৫ ম্যাচে। রান সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩। রয়েছে ১টি শতক ও ৫টি অর্ধশতকের ইনিংস। ব্যাটিং গড় ২৪.০০।
২০১০ এ লর্ডসের অনার্স বোর্ডে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নিজের নাম লিখান। ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত এই মাটে ১৫ চার আর দুই ছক্কায় তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েন। পরের ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফের সেঞ্চুরি। উইজডেন ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ারে ২০১১ মুকুটও পরেছেন এই তারকা ক্রিকেটার।
২০১৩ সালে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে জীবনের আরকটি নতুন ইনিংস শুরু করেন তামিম। তিন বছর পর তাদের সংসারের নতুন সদস্য হিসেবে আগমন হয় আরহাম ইকবাল খানের।
২০০৭ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন ৪ ম্যাচ খেলা ১৭ বছরের তরুণ। ৫১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেবারিট ভারতকে বিশ্বকাপ আসর থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন বামহাতি এই ব্যাটসম্যান। বর্তমানে টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সংগ্রাহক এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং গড়, স্ট্রাইক রেট, সেঞ্চুরি এবং হাফ সেঞ্চুরি সব মিলিয়ে তিনি বিশ্বমানের ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। আর দেশের হয়ে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে আগেই প্রমাণ করেছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। বিশ্বের নানা প্রান্তে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরছেন অনেক বার। বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখও তিনি।