রাশিয়ায় ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ২০১৮ বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে তর্কযুদ্ধ।
১৯৯৪ সালের পর থেকে পেশায় আইনজীবী পাভিওত্তির জীবন শুধু হলুদ আর সবুজময়। তখন থেকে এখন পর্যন্ত যে পোশাকই তিনি পরেছেন, পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া। এমনকি খাবারও খাচ্ছেন ব্রাজিলের পতাকার রংয়ের। সবুজ-হলুদ ফলমূল, এই দুই রংয়ের জেলি, বাদাম, অর্থাৎ যা কিছু সবুজ আর হলুদ শুধু সেগুলোই খাচ্ছেন পাভিওত্তি।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সময় তাঁর বিছানার চাদর, গাড়ি, অফিসের আসবাবপত্র সবই ছিল সবুজ আর হলুদ রংয়ের। বাড়ির সামনের রাস্তায় ছিল ব্রাজিলের পতাকা। বাড়ির সদর দরজার গ্রিলেও ছিল এই দুই রংয়ের স্পর্শ। পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া।
প্রিয় দলের সমর্থনে একসময় যে অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন, তা রক্ষা করা।
১৯৯৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় পাভিওত্তি অঙ্গীকার করেছিলেন, যদি সেবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ জেতে তাহলে সারা জীবন জাতীয় পতাকার রংয়ে কাটিয়ে দেবেন তিনি। এখন সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন তিনি।
পাভিওত্তির এই অদ্ভুত আচরণ ফিফাসহ অনেকের নজর কেড়েছে। তাইতো তাঁকে নিয়ে নির্মিত একটি ভিডিও রাখা হয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত ফিফার জাদুঘরে। সম্প্রতি সেই জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন পাভিওত্তি।