অবশেষে জানা গেল জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীর পরিচয়

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হামলাকারীর পরিচয় নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে সঠিক খবর এখনও বের হয়ে আসেনি।

হামলাকারী শাবিপ্রাবি ক্যাম্পাসের নয় বলে দাবি করেছেন উপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, জাফর ইকবালের ওপর হামলার উদ্দেশ্যেই এই তরুণ ক্যাম্পাসে এসে থাকতে পারেন।

শাবিপ্রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘হামলাকারী ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথেই আমাদের চলাফেরা। তাকে আমরা কখনোই ক্যাম্পাসে দেখিনি।’

একই কথা বলেন শাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও খলিলুর রহমান শাবি ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘হামলার পরপরই হামলাকারীকে আমরা ধরে ফেলি। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে আমরা কেউ তাকে চিনতে পারিনি।’

তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে কেউ কেউ তাকে শাবিপ্রাবির ছাত্র বলেই চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু এ ধরণের দাবির কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাকে মাদ্রাসার ছাত্র বলেও অভিহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে অনুষ্ঠান চলাকালে মোবাইলে তোলা একটি ছবিতে জাফর ইকবালের ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ওই তরুণকে। ওই সময় জাফর ইকবাল সোফায় হেলান দিয়ে মনোযোগ দিয়ে একটি বই পড়ছিলেন। এতে বোঝা যায় অনেক সময় ধরে তাকে চোখে চোখে রাখছিলো হামলাকারী।

ওই ছবিটিতে হামলাকারীর পাশেই আরেকটি তরুণকেও তার সহযোগী বলে ধারণা করছেন কেউ। তবে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এদিকে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় শেখপাড়ার তার বাসাটিতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের বাসাটি তালাবদ্ধ। কুমারগাঁও বাসস্টেশনের দুজন প্রত্যক্ষদর্শী ফয়জুলের পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে চলে যেতে দেখেছেন। তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘মেডিকেলে যাচ্ছি।’

এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ফয়জুল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলে এলাকায় পরিচয় দিতেন। তবে কোন মাদ্রাসায় পড়েন-এ বিষয়ে এলাকার কেউ জানাতে পারেননি। ফয়জুলের বাবা আতিকুর রহমান সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পার্শ্ববর্তী টুকেরবাজারে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। রাত নয়টার দিকে আতিকুরের মোবাইলে ফোন দিলে ওপাশ থেকে কেউ ফোন ধরেননি। এরপর ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।