অষ্টাদশী তরুণী যেভাবে হারিয়ে গেলেন নিষিদ্ধ পল্লির অন্ধকারে

আঠেরো বছর বয়স। কত স্বপ্ন আর নতুন দিনের আলো চোখে নিয়ে পথ চলা শুরু হয় এই বয়সে। কিন্তু সেই বয়সে এসেই যদি কোনও মেয়ে জানতে পারে তার মা জন্মের পরেই তাকে আর তার বাবাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন অন্য পুরুষের সঙ্গে, তখন যেন আচমকাই মাথার উপরের আকাশটাই ভেঙে পড়তে থাকে। এতদিন মেয়েটি কাটিয়েছে মিশনে। মিশন থেকে ফিরতেই বাবা তাকে বন্দি করে রাখে একটি ঘরে! তার পর মাকে দেখতে উন্মুখ মেয়ের সামনে তুলে ধরে এই নির্মম সত্য। সেই ভাগ্যপীড়িত মেয়ের কাহিনিই রুপোলি পর্দায় আনতে চলেছেন পরিচালক সত্যজিৎ মজুমদার। ছবির নাম ‘দ্য রেড লাইন’। নভি মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল ফিলম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছিল নবোদয় ফিলমস অ্যান্ড টেলিফিলমস প্রযোজিত এই ছবিটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে সাধারণের জন্য।

পরিচালক জানান, নারীকেন্দ্রিক ছবি করতেই পছন্দ করেন তিনি। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য তাঁরই। তাঁর এই গল্পের নায়িকা বৃষ্টি একজন দেহোপজীবিনী। সেকথা জানাতে গিয়ে পরিচালক জানান, একজন গণিকার শরীরটাই সবাই দেখে। তাঁর মনের খবর ক’জন রাখেন! তাই তেমনই এক মেয়েকে তিনি বেছে নিয়েছেন প্রধান চরিত্র হিসেবে। নিষিদ্ধ পল্লির গোপন অন্ধকারে যে মনের কোণে বাসা বেঁধে থাকে এক টুকরো অব্যক্ত ভালবাসা।

ছবিটি আসলে এক রাতের কাহিনি। মেয়েটির সঙ্গে এক লেখকের সংলাপ বুনে বুনেই এগোতে থাকে গল্প। যাত্রা করে পিছনের দিকে। কেমন করে একটি অসহায় মেয়ে হারিয়ে গেল সমাজের অন্ধকার ঘূর্ণাবর্তে, কেমন করে আচমকাই খুঁজে পেল অব্যক্ত ভালবাসাকে, সেই অনুভূতিমুখর গল্পই শুনিয়েছেন সত্যজিৎ। গণিকার গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য কি শেষমেশ লিখতে পারেন ওই লেখক? নাকি বৃষ্টি নাম্নী ওই মেয়েটির সঙ্গে চলতে চলতে তিনিও জড়িয়ে পড়েন নিয়তির এক অমোঘ আবর্তে? জানা যাবে ১৬ মার্চ, ছবি মুক্তির পরে।