অস্ট্রেলিয়ায় সু চির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র একে জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করেছে। তবে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রি সু চি আন্তর্জাতিক এসব অভিযোগ কানেই তুলছেন না। বরং তিনি বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর সমর্থনে কথা বলেছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সুচির বিচার চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের কয়েকজন আইনজীবী শুক্রবার এই আবেদন করেছেন।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রি অং সান সু চির বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যক্তিগত মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যক্তিগত মামলা দায়ের আবেদনের বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, এ ধরণের মামলা দায়ের করতে হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে।

মেলবোর্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুক্রবার মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন, মেলবোর্নের ব্যারিস্টার ও প্রাক্তন বিচারক মেরকেল কিউসি, আর্ন্তজাতিক আইনজীবী ম্যারিয়ন ইসোবেল ও রাইলিন শার্প এবং সিডনি মানবাধিকার আইনজীবী অ্যালিসন ব্যাটিসন ও ড্যানিয়েল টেইলর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আদালত আবেদনটি পর্যালোচনা করছে এবং আগামী সপ্তাহে এর জবাব পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টারের কাছেও আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

মামলার আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশদ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেদনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চরম ও প্রক্রিয়াগত অপরাধ করে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, সহিংসতা, ধর্ষণ, বিনাবিচারে আটক এবং সম্পত্তি ও সম্পূর্ণ গ্রাম ধ্বংস। এসব ঘটনা যে ঘটেছে সু চি তা অস্বীকার করেছেন।’

তারা আরো বলেন, ‘অভিযোগ উঠেছে সু চি তার পদের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা ব্যবহারে ব্যর্থ হয়েছেন এবং যতদূর সম্ভব রোহিঙ্গাদের তাদের বাড়িঘর থেকে জোর করে উচ্ছেদে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অনুমতি দিয়েছেন।’