আবারো জনসভার ঘোষণা দিলো বিএনপি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আবারো জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সকাল সোয়া ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ফখরুল। এর আগে আজ ১২ মার্চ জনসভার ঘোষণা দিয়েছিলো বিএনপি। এদিন জনসভার অনুমতি না পেয়ে আগামী ১৯ মার্চ ফের জনসভার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।

ফখরুল বলেন, আমরা সমাবেশের অনুমতির জন্য দরকারি কাগজপত্র পাঠাবো। আশাকরছি আমাদের অনুমতি দেয়া হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা জনসভা করার অনুমিত চেয়েছিলাম। এর আগেও আমাদের জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এবারও অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ১৫ দিন আগে অনুমিত চাওয়া হলেও শেষ সময়ে আমাদের জানানো হলো নিরাপত্তার কারণে সমাবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশাবাদী সরকার আমাদের অনুমতি দিবে। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কর্মসূচি পালনে সহায়তা করবে। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা থাকবে, কথা বলার অধিকার থাকবে।

এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার কারণ হিসেবে ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রতিবেদন আমাদের বিরুদ্ধে। তার মানে কি এখন গোয়েন্দারাই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নির্ধারণ করে দিবে?

অন্যান্য দল অনুমতি পাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ওায়ার্কার্স পার্টি, চরমোনাই পীর, জাতীয় পার্টি সমাবেশের অনুমতি পায় কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো জনসভা করতে চাইলল নিরাপত্তার অজুহাতে অনুমতি দেয়া হয় না। কিন্তু আগে পুলিশের অনুমতির দরকার পড়তো না। তাদের অবগত করলেই চলতো। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এটি নিয়ম করে তুলেছে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এটা নির্বাচনের বছর। আর তাই সরকারেই উচিত বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে সভা সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার দেয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা না করে করছে উল্টোটা। যখনই বিএনপি সভা সমাবেশ করতে চায় তখনই বাধা দেয়।

১৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দীতে জনসভা ঘোষণার পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ফখরুল ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম, ২৪ মার্চ বরিশাল এবং ৩১ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় শহরে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, চেয়ারপারানের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল খবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ এবং তাইফুল ইসলাম টিপু।