এই জয়ের মাধ্যমে যে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেই ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার করে ২১৪ রান। জবাবে বাংলাদেশ দুই বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এর আগে গত মাসে ঢাকায় এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সর্বোচ্চ ১৯৩ রান করে বাংলাদেশ।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসও দুর্দান্ত সূচনা করেন। দলীয় ৭৪ নামে নুয়ান প্রদীপের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান লিটন দাস। তবে ১৯ বল থেকে দুটি চার ও ৫টি ছক্কার মারে ৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। দলীয় ১০০ রানে আউট হন তামিম ইকবাল। ২৯ বল থেকে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার মারে তিনি করেন ৪৭ রান। দুই ওপেনার যাওয়ার পর মুশফিক-সৌম্য জুটি ৫১ রান যোগ করেন। ২২ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কার মারে সৌম্য করেন ২৪ রান।

পরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ দলের হাল ধরেন। দলীয় ১৯৩ রানে দুশমন্থ চামিরার বলে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ১১ বলে একটি চার ও একটি ছক্কার মারে তিনি করেন ২০ রান। ২৪ বল থেকে হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহর পর দলীয় ১৯৭ রানে রানআউট হয়ে যান সাব্বির। পরে মিরাজকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন মুশফিক। ৩৫ বল থেকে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কার মারে ৭২ রান করে মুশফিক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। ৪৮ বলে ৮টি চার ও দুটি ছক্কার মারে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন কুশল পেরেরা। ৩০ বল থেকে দুটি চার ও ৫টি ছক্কার মারে ৫৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস। উপুল থারাঙ্গা ১৫ বল থেকে চারটি চার ও একটি ছক্কার মারে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুস্তাফিজ তিনটি ও মাহমুদউল্লাহ দুটি এবং তাসকিন একটি করে উইকেট নেন।

এর বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে। অপরদিকে শ্রীলঙ্কা ভারতকে হারিয়ে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে।