‘এই মুহূর্তে এরশাদই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি’

আগামী একাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ডাক ঢোল বাজাতে শুরু করেছে বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের অন্যতম শরিক দল সংসদের একসাথে বিরোদী দল ও ক্ষমতাশীন দলের অন্যতম জাতীয় পার্টি। আজ বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স একমাবেশে দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এই মুহূর্তে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তাই জাতীয় পার্টির ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ সফল হলে আগামী নির্বাচনের পর সরকার গঠন করা কঠিন হবে না।

সোমবার রাজধানীতে ১৯ মার্চ বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের নিচতলার হলরুমে ২৪ মার্চ জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় একথা বলেন তিনি । এসময় উপস্থিত দলেন অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ প্রমুখ।

সভায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের মহাসমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীদের মঞ্চে না এসে মাঠে থাকার অনুরোধ জানিয়ে মহাসচিব বলেন, কিছু লোককে মঞ্চে থাকতে হয়। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছাড়া অন্য নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন। যে যতজন পারেন লোক নিয়ে আসবেন। মহাসমাবেশের সময় প্রখর রোদ থাকবে। নেতাকর্মীরা যেন গাছের নিচে গিয়ে না দাঁড়ান। তাহলে চেয়ার খালি থাকবে। টিভি ক্যামেরায় দেখাবে লোক নেই।

রুহুল আমিন বলেন, পরে মিডিয়া বলবে আওয়ামী লীগের মিটিং বিশাল হয়েছে, বিএনপি’র মিটিং বিশাল হয়েছে। জাতীয় পার্টির লোক নেই। এই মহাসমাবেশকে ঘিরে আমরা অনেক কষ্ট করেছি, পার্টির চেয়ারম্যান অনেক কষ্ট করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মহাসমাবেশ হবে ঐতিহাসিক। বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরে গিয়েছিল, আমরাও উপযুক্ত সময়ে পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে ডাক দিয়েছি। আমাদের মহাসমাবেশ হবে পূরিপূর্ণ, ব্যাপক এবং ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সেদিন মনিটরিং করবো কে কতজন লোক নিয়ে আসছেন, কার কি স্লোগান ছিল। আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেরা দেখবো কার কি অবদান। সেই অবদান বিবেচনায় নিয়ে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে।