একই সাথে কাকিমা ও তার মেয়েকে বিবাহ জেনে নিন তার পর কি হলো

বিয়ে বলতে আমরা জানি চার হাতের মিলন। চার হাত বলতে দু’টি হাত পাত্রের, অন্য দু’টি হাত পাত্রীর। এমনটাই হয়ে থাকে, এমনটাই সামাজিক রীতি। কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তানে এমন একটি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে একসঙ্গে ছ’হাতের মিলন ঘটেছে। শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক না কেন, পাকিস্তানের এক যুবক একসঙ্গে দু’ই মহিলাকে বিয়ে করেছেন। শুধু তা-ই নয়, যা আরও বিস্ময়কর তা হল, যে দুই মহিলাকে তিনি বিয়ে করেছেন, তাঁদের এক জন তাঁর নিজেরই কাকিমা, এবং অন্য জন তাঁর কাকিমার মেয়ে, অর্থাৎ চাচাতো বোন।

৩০-এর কাছাকাছি বয়সি এই মূলতানি যুবকের নাম ইয়ুসুফ খান। তাঁর কাকিমা তাঁর চেয়ে বয়সে বড়। বছর কয়েক আগে তাঁর কাকিমা বিধবা হন। যুবতী মেয়েকে নিয়ে তারপর থেকে একাই ছিলেন তিনি। হঠাৎই তাঁর প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির তরফে মহিলার কাছে ইয়ুসুফ অর্থাৎ তাঁরই ভাশুরপোকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি সম্মত হন।

এদিকে তাঁর মেয়েও ইতিমধ্যে বিবাহযোগ্যা হয়ে উঠেছে। পারিবারিক আলোচনায় স্থির হয়, মেয়েরও বিয়ে হবে ইয়ুসুফেরই সঙ্গে। একই দিনে একই অনুষ্ঠানে মা ও মেয়েকে বিয়ে করে নেন ইয়ুসুফ। তাঁর চাচাতো বোন অবশ্য তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে পাত্র-পাত্রীর পরিবারে কোনও অস্বস্তি তো নেই-ই, বরং ইয়ুসুফের বাবা ছেলের এই পদক্ষেপে অত্যন্ত খুশি। সামাজিকভাবেও ইউসুফকে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, দুই ‘অসহায়’ মহিলাকে ‘উদ্ধার’ করে একেবারে ‘পুরুষোচিত’ কাজই করেছেন ইয়ুসুফ।

কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই কনের হাত ধরে বসে থাকা বরবেশী ইয়ুসুফের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে নিন্দা। পাকিস্তানে মহিলাদের সামাজিক অবস্থান যে কতখানি অবনমিত, এই ঘটনা তারই নিদর্শন— এমনটাই মনে করছে সোশ্যাল মিডিয়া।