একের পর এক দুঃসংবাদ পেলেন খালেদা জিয়া

১২ মার্চ সোমবার বিকেলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার ৫নং আমলী আদালতের বিচারক মুস্তাইন বিল্লাহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় আটজন হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ২৮মার্চ হাজিরার নির্দেশ দেন।

আজ বুধবার পুর্বনির্ধারিত তারিখে কুমিল্লার আদালতে হাজির না করায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা জামিনের আবেদন শুনানী হয়নি। আদালত খালেদা জিয়াকে আজ আদালতে হাজির না করায় সাত দিনের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাকর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আগামী ৮ এপ্রিল জামিন আবেদনের শুনানীর পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে। কুমিল্লা ৫ নাম্বার আমুলী আদালতের বিচারক কাজী আরাফাত এ আদেশ দেন।

গত ১২ মার্চ আইনজীবিদের করা খালেদা জিয়ার হাজিরা পরোয়ানা (প্রোটেকশন ওয়ারেন্ট) প্রত্যাহার ও জামিন আবেদন আদালত আজ ২৮ মার্চ শুনানির দিন ধার্য্য করে ছিল।

কুমিল্লা আদালতের পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, জিআর ৫১ মামলায় বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তারের আবেদন কুমিল্লায় আমলী আদালত ৫ (চৌদ্দগ্রাম) কোর্টে উপস্থাপন করলে সংশ্লিষ্ট আদালত তার নামে হাজিরা পরোয়ানা (প্রোটেকশন ওয়ারেন্ট) বা ইস্যু করে। এবং ঐদিনই তা ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আটজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয়জন নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। ৭৭জন আসামির মধ্যে তিনজন মারা যান, পাঁচজনকে চার্জশিটকে থেকে বাদ দেয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অপর ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন চার্জশিট দাখিল করেন।