এক প্রতারণা ঢাকতে স্মিথদের সব মিথ্যাচার উঠে এসেছে তদন্ত রিপোর্টে!

বল বিকৃতি (বল ট্যাম্পারিং) হল বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম একটি জঘন্য ঘটনা। আর এই জঘন্য কাজে ফেঁসে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও তরুণ পেসার ক্যামেরন ব্যানক্রফট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে এমন কাণ্ড করে বসেন তারা। আর এ ঘটনার জেরেই এবার ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। আর ব্যানক্রফটের নিষেধাজ্ঞা ৯ মাসের।

তবে এরই মধ্যে বল ট্যাম্পারিং বিতর্কের তদন্ত শেষ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আজ বুধবার জোহানেসবার্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বোর্ড আবার বসেছিল বৈঠকে। আর তাদেরকে সামনে রেখেই তদন্ত হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, স্মিথরা সব স্বীকার করলেও অনাকে মিথ্যা বলেছেন প্রকাশ্যে। সবার ভাবনাকে ভুল পথে পরিচালনা করেছেন তারা। একই সঙ্গে লুকিয়েছেন প্রমাণ।

তদন্তে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হল-

স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বিরুদ্ধে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোড অব কন্ডাক্টের ২.৩.৫ আর্টিকেল ভাঙার আরোপ আনা হয়েছে। তাদের আচরণের সমস্যাগুলো হল-

১. খেলার স্পিরিট বিরোধী।
২. প্রতিনিধি বা কর্মকর্তা হতে ব্যর্থ।
৩. ক্রিকেটের স্বার্থের জন্য এটা ক্ষতিকর হতে পারে।
৪. ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করা।

অন্যদিকে সকল খেলোয়াড়ের স্বার্থে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিচে উল্লেখিত পরামর্শ দিচ্ছে-

স্টিভেন স্মিথের বিরুদ্ধে সিএ কোড অব কন্ডাক্টের ২.৩.৫ আর্টিকেল ভাঙার আরোপ আনা হয়েছে। তা নিচে উল্লেখিত কারণে-

১. কৃত্রিম উপায়ে বল বিকৃতির সম্ভাব্য পরিকল্পনা জানা ছিল তার।
২. ওই পরিকল্পনা গুছিয়ে উঠতে এবং বাস্তবায়ন হতে বাধা দিতে ব্যর্থ হওয়া।
৩. মাঠে খেলার সময় ট্যাম্পারিং চেষ্টার প্রমাণ লুকিয়ে ফেলার কাজ পরিচালনা করা।
৪. ম্যাচ অফিসিয়াল এবং অন্যান্যদের ব্যানক্রফটের বল ট্যাম্পারিংয়ের বিষয়ে ভুল পথে পরিচালনা করা।
৫. ট্যাম্পারিং পরিকল্পনার প্রকৃতি, অংশগ্রহণকারী এবং সীমা নিয়ে প্রকাশ্য মন্তব্যে সবাইকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া।