এবার বাসের মধ্যে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

এবার বাসের মধ্যে সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মানিকতলা থানার ক্যানাল (পশ্চিম) রোড এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শেখ মুন্না (৪৫)।

রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে ওইদিনই কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইদিনে অভিযুক্ত মুন্নাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাল শিয়ালদা আদালত তার পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাড়ি ক্যানাল রোড এলাকায়। সেখানে গৌরীবাড়ি ব্রিজের কাছে সোমবার বিকেলে সে পাড়ারই এক বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল। ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে ছিল একটি বাস। খেলতে খেলতে ওই বাসে উঠে পড়ে সে। বাস থেকে নামছে না দেখে তার বন্ধু বাসের ভিতর যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, বাসের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা খোলার চেষ্টা করে বন্ধুটি। পারেনি। তখন সে শিশুর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। পরিবারের লোক স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে বাসের দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তখন মুন্না দরজা খোলে।

দেখা যায়, বাসের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুটি। মুন্নাকে মারধর শুরু করে স্থানীয়রা। অভিযোগ, মার খেয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে মানিকতলা থানার পুলিশ আসে। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।

দাঁড়িয়ে থাকা বাসটি স্থানীয় একটি ট্র্যাভেল সংস্থার। ওই ট্র্যাভেল সংস্থার অফিসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ক্ষিপ্ত জনতার দাবি, মুন্না তাদের সংস্থার খালাসি। যদিও সংস্থার বক্তব্য, মুন্না তাদের কর্মী নয়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বাসের ভিতর কী করছিল সে ? যদিও সংস্থার তরফে এর কোনও স্পষ্ট উত্তরে মেলেনি।

কর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে এখন সে স্থিতিশীল। হাসপাতালের প্রবীণ এক চিকিৎসক বলেন, “শিশুটিকে আনার সময় রক্তপাত হচ্ছিল। খুব খারাপ অবস্থা ছিল। গতরাত থেকে তার অবস্থার উন্নতি হয়। সম্ভবত শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে। তার শরীরের ক্ষত নৃশংসতার প্রমাণ দিচ্ছে।”

এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “আমরা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। অভিযুক্তকে জেরা চলছে। আমাদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এনেছে।”