এবার সেভেনআপের ভূত তাড়া করল আর্জেন্টিনাকে

২০১৪ বিশ্বকাপে নেইমার ও থিয়াগো সিলভা বিহীন ব্রাজিল জার্মানীর কাছে হেরেছিল ৭-১ গোলে। সেটা পরে বিখ্যাত সেভেন আপে রুপধারন করে। এতদিন সেটা নিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফ্যানদের অনেক রকম কথা শুনিয়ে এসেছে অন্যান্য দলের ভক্তরা। তবে এবার উল্টো সেভেন আপের ভূত তাড়া করল আর্জেন্টিনাকেই। কিন্তু সেভেন আপ না হলেও শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের বিশাল লজ্জাই উপহার পেয়েছে তারা। দুই দলের গোল যোগ করে আবার সেভেন আপ বলে দিতে পারে কেউ কেউ।

লিওনেল মেসি নেই। ইনজুড়ির কারনে নেই ডি মারিয়া ও অ্যাগুয়েরু। প্রথম ম্যাচেও ছিলনা অ্যাগুয়েরু ও মেসি। ডি মারিয়াও পুরো ম্যাচ খেলতে পারেনি। তবে ইতালিকে ঠিকই ২-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। আর এতে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গর্বে আকাশে উড়ছিলেন সাম্পাওলি।

কিন্তু স্পেনের বিপক্ষে পড়তেই সব হাওয়া বেড় হয়ে গেল আর্জেন্টিনার। গুনে গুনে ৬টি গোল হজম করল তারা। গোলের হার দেখে একটা সময় আর্জেন্টিনা ভক্তদের মনে সেভেন আপের ভূত তাড়া করে এলেও শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি।

ম্যাচে গোল বন্যার শুরু ১২ মিনিটের সময়। রিয়াল তারকা অ্যাসেনসিওর পাস থেকে কস্তার গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। ঠিক ১৫ মিনিট পর রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকার যুগলে ব্যবধান দ্বিগুন করে স্পানিশরা। এবার অ্যাসেনসিওর পাশ থেকে গোল করেন ইসকো।

২ গোল হজম করে একটি গোল শোধ করে আর্জেন্টিনা তারকা নিকোলাস ওতামেন্ডি। আর খেলায় ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছিল এই গোলের মাধ্যমে।

কিন্তু বিরতির পর আর্জেন্টিনার উপর এমন ভাবে চেপে ধরে স্পানিশরা যে ধম ফালানোর উপায় টুকুও পাচ্ছিলোনা সাম্পাওলির দল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে লাগো আসপাসের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন ইসকো। ৩ মিনিট পরই হালী পুর্ন করেন বায়ার্ন তারকা থিয়াগো আলেকান্ত্রা।

৪-১ গোলে এগিয়ে গিয়ে আরো দুর্বার হয়ে উঠে স্পেন। স্পানিশ তারকাদের এমন গোল উৎসব দেখে গোলকিপার ডেভিড ডি গিয়ার মন চাইল স্কোর শীটে আমার নামটাও থাকতে পারে। গোল করে না হৌক, অ্যাসিস্ট করে কিন্তু ঠিকই নামটা লিখিয়েছেন এই স্পানিশ গোলরক্ষক। ৭৩ মিনিটের সময় লাগো আসপাসের গোলটি তার পাস থেকেই।

পরের মিনিটেই ৬ গোল পূর্ন করেন ইসকো। সেই সাথে নিজের হ্যাটট্রিকও পূর্ন করেন এই মিডফিল্ডার।

৬-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর এবার বিখ্যাত সেই সেভেন আপ ভূতই তাড়া করছিল আর্জেন্টিনা ভক্তদের। তবে শেষ পর্যন্ত সেভেন আপ খেতে হয়নি তাদের। ম্যাচটি তারা হারে ৬-১ গোলে। হারের লজ্জার দিনে অন্তত সেভেন আপ না খাওয়ার সান্তনা টুকু পেতে পারে আর্জেন্টিনা।