‘ওখানে সিঙ্গেল নিতে পাঠানো হয়নি তোমাকে’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার ম্যাচে সাব্বির রহমান যখন উইকেটে গেলেন, বাংলাদেশ শিবিরে ততক্ষণে অক্সিজেনের টান পড়ে গেছে। জয়ের জন্য ১৫ বলে দরকার ২৩ রান। সাব্বির দুই বল খেলেছেন, কোনো রান নিতে পারেননি। ফিরেছেন রান আউট হয়ে। তার আউট হওয়ার এই ধরনে বেজায় চটেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শুধু রান আউটই নয়, সাব্বিবের ব্যাটিংয়ের ধরনও মনঃপুত হয়নি বিসিবি সভাপতির। বাংলাদেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বলা হয় তাকে। সাব্বিরের কাছ থেকে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংই আশা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু মোকাবিলা করা দুটি বলে রক্ষণাত্মক ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পাপন। তার মতে, রক্ষণাত্মক থাকার জন্য সাব্বিরকে উইকেটে পাঠানো হয়নি।

দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাতে অবস্থান করছেন বিসিবি সভাপতি। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাব্বিরের বিষয়ে পাপন বলেন, ‘সে চেষ্টাও করেনি। ও তো ডাইভও দেয়নি। আর ওকে ওই সময় সিঙ্গেল নিতে বলল কে? সবার সামনেই ওকে বলেছি, ওখানে সিঙ্গেল নিতে পাঠানো হয়নি তোমাকে। ছয় মারার খেলোয়াড় তো মিরাজ নয়। তোমাকে পাঠিয়েছি ছক্কা মারতে। তোমাকে মারতে হবে, ব্লক করেছ কেন? হলে হবে, না হলে নাই। যাই হোক, জিতলে তো বেশি বলা যায় না।’

তবে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ বিসিবি সভাপতি। ৩৫ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৭২ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। মুশফিকের এমন ব্যাটিং রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে পাপনকে। কারণ মুশফিক ছয় মারতে পারেন, এটা নাকি জানতেনই না বিসিবি সভাপতি।

লিটন কুমার দাসের ব্যাটিং সম্পর্কেও ধারনা ছিল না বলে জানান পাপন। মুশফিক ও লিটনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘তামিম-সৌম্য যে মারতে পারে, আমরা জানি। লিটন মারতে পারে জানতাম না। মুশফিক? ওকে বললাম, তুমি যে এমন মারতে পার, জানতামই না। ও তো আসলে গত দুই বছর ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে আউট হয়েছে। ও মারতে পারে, কিন্তু ছয় মারার খেলোয়াড় নয়। ছয় মারে তিনজন; তামিম, সৌম্য, সাব্বির। সাব্বির তো ছন্দেই নেই।’

প্রিয়