কখনও আদর-যত্ন পায়নি সাকিব-তামিমরা

আহা রে! কখনও গোসল বা ধোয়া-মোছা হয় না সাকিব তামিম মুশফিকদের শরীর। দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পর থেকে কখনও একটু আদর-যত্ন পায়নি তারা। জাতীয় ক্রিকেটারদের শরীর পরিষ্কার করার প্রয়োজন মনে করেনি কোনো কর্তৃপক্ষ। দেখে মনে হচ্ছে দূষিত চাক্তাই খাল থেকে সদ্য ডুব দিয়ে এসেছেন জাতীয় ক্রিকেটাররা।

বলছিলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে বিশ্বরোডের মোড়ে নির্মিত বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেটারদের ভাস্কর্যের কথা। ধুলাবালিতে ভাস্কর্যগুলোর এমন অবস্থা, মনে হচ্ছে ক্রিকেটাররা কোনো ডোবা থেকে ডুব দিয়ে ওঠেছেন এই মাত্র। শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে এমন হতেই পারে। তবে পরিষ্কার তো করা যায়। পরিষ্কার করতে কী সুন্দর দেখা যেত ভাস্কর্যগুলো। যারা এ গুলো নির্মাণ করেছেন, এ গুলোর সৌন্দর্য্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের থাকা উচিত। কিন্তু, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেউ পালন করে বলে মনে হয় না। বলা যায় বেওয়ারিশ ভাস্কর্য।

কিছুদিন আগে এই পথ দিয়েই ধূলা-বালিময় এই ভাস্কর্য দেখে দেখেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা দল ও টাইগার দল। তামিমেরা ধূলা-বালিময় নিজেদের এই ভাস্কর্য দেখে হেসেছে নাকি কেঁদেছে জানি না।

টাইগারদের ভাস্কর্যের কাছেই আছে বাংলাদেশ বিমানের চমৎকার একটি ভাস্কর্য। সেটিরও একই অবস্থা।

লেখক: প্রবাসী সাংবাদিক।