কাঠমান্ডু ট্রাজেডি: আজ দেশে আসছে বাকি তিনটি মরদেহ

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস- বাংলার স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে বাকি থাকা তিনজনের মরদেহ আজ বিকেলে  নিজ মাতৃভূমিতে পৌছবে।

বিমান বাংলাদেশের বিজি০৭২ কাঠমান্ডু-ঢাকা নিয়মিত ফ্লাইটে নিহত তিনজনের মরদেহ আনা হবে।  নিহতদের লাশ  পৌঁছাতে ৫টা বেজে যাবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমান বাংলাদেশের ঢাকা-কাঠমান্ডু নিয়মিত ফ্লাইটে মরদেহগুলো ঢাকায় আসছে। ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম  বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন মরদেহ তিনটি হচ্ছে আলিফউজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম ও পিয়াস রায়ের।

বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, সকালে নেপাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে তিনজনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। পরে সকাল ১০টায় দূতাবাসের সামনে মরদেহের মধ্যে আলিফউজ্জামান ও মো. নজরুল ইসলামের জানাজা হয় এবং হিন্দুধর্ম মেতাবেক পিয়াস রয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ইউএস-বাংলার কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ২৬ জনের মধ্যে গত সোমবার নেপাল থেকে চিহ্নিত ২৩ জনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তখন তিনজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে বুধবার তাদেরকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে, ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হয়নি। মরদেহগুলো বিমানবন্দর থেকে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মরদেহগুলো বিমানবন্দরের ৮নং গেট দিয়ে বের করা হবে। তিনটি মরদেহ ঢাকার বাইরে যাবে। এর মধ্যে আলিফউজ্জামানের লাশ খুলনায়, মো. নজরুল ইসলামের লাশ রাজশাহী এবং পিয়াস রায়ের লাশ বরিশালে যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে ঢাকা থেকে ৭১ আরোহী নিয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১ রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে উড়োজাহাজে থাকা ৫১ আরোহী নিহত হন। উড়োজাহাজে চার ক্রুসহ ৩৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এদের ২৬ জনই নিহত হয়েছেন। আহত হন ১০ জন।

সোমাবার শনাক্ত হওয়া ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।