কান্নায় ভেঙে পড়লেন ওয়ার্নার, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটকে বিদায়

বল ট্যাম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অজি ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্থানীয় সময় শনিবার সিডনিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্রিকেটে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে সদ্য সাবেক হওয়া এই সহ-অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে অডিটরিয়ামের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন তার স্ত্রীও। খবর রয়টার্সের।

তিনি জানান, এক বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও তিনি হয়তো অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর ক্রিকেট খেলবেন না। এই বিতর্ক থেকে মুক্তি পেতে আপাতত কয়েকটা দিন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

সাংবাদিকদের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করে ওয়ার্নার বলেন, এই ভুলের কোনও ব্যাখ্যা হয় না। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ফের হয়তো দেশের জন্য খেলতে পারতাম। কিন্তু আমি যা করেছি তা ক্ষমার অযোগ্য। আমি সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ায় হয়ে আর ক্রিকেট খেলব না। যে ভুল করেছি, তার জন্য এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শাস্তি হয়ে থাকুক।
সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওয়ার্নার

তিনি জানান, আগামী কয়েক মাস তিনি নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করবেন। কী করে এই মানসিক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেজন্য বিশেষজ্ঞের পরমার্শও নেবেন।

অন্যের দোষ তার ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্নার বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমি এখানে আজ শুধুই নিজের দোষ স্বীকার করতে এসেছি। এই ঘটনায় আমার ভূমিকা আমি মাথা নিচু করে মেনে নিচ্ছি।

ওয়ার্নার আরও বলেন, আমি আমার দেশের মাথা নত করে দিয়েছি। একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। আমারও দোষ ছিল। আমারই দলের সতীর্থরা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলছে, আমি সেই দলে নেই। এটা মেনে নেওয়া একজন খেলোয়াড়ের কাছে কার্যত অসম্ভব।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের দোষ স্বীকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন অস্ট্রেলিয়া দলের সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও। বল ট্যাম্পারিংয়ের দায়ে তাকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একই ঘটনায় ক্যামেরুন ব্যানক্রফকেও ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পদত্যাগ করেছেন কোচ ডারেন লেম্যানও।