খেলোয়াড়দের আচরণবিধি বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইসিসি

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত শনিবার বল ট্যাম্পারিং করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ক্যামেরন ব্যানক্রফট। আর এতে সায় ছিল স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। যা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে নিয়ে গেছে এ কালো অধ্যায়ে। এ ঘটনায় স্মিথ ও ব্যানক্রফটকে শাস্তিও দিয়েছে আইসিসি। পরে তিন ক্রিকেটারকেই নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

এছাড়া কয়েকদিন আগেই শেষ হওয়া নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নো বল না দেয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সেই ম্যাচের রিজার্ভ খেলোয়াড় নুরুল হাসান সোহান। ওই ঘটনায়ও আইসিসির কাছ থেকে শাস্তি পেতে হয়েছিল সাকিব ও সোহানকে।

কেপ টাউনে স্মিথদের বল ট্যাম্পারিংয়ের ঘটনায় আরো নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসিও। খেলোয়াড়দের আচরণবিধি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে সংস্থাটি। ক্রিকেট ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময়’ পার করছে জানিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বলেছেন, তারা খেলোয়াড়দের আচরণবিধি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করবেন।

ক্রিকেটারদের আচরণে ক্ষুব্ধ রিচার্ডসন বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহে নোংরা স্লেজিং, মাঠ থেকে তুলে নেয়া, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা ও বল ট্যাম্পারিংয়ের মতো খেলোয়াড়দের বাজে আচরণ দেখেছি। এটা সম্ভবত স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময়, যেখানে খেলোয়াড়রা ধারাবাহিকভাবে বাজে আচরণ করছে। বল ট্যাম্পারিং নিয়ে বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা ক্রিকেটের জন্য এটা বার্তা। যথেষ্ট হয়েছে।’

আর এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আরো কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এ কারণে আমরা খেলোয়াড়দের আচরণবিধি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করব। এবং খেলার স্পিরিট ও কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে নতুন করে ভাববো। বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন আমাদের প্রতি আছে। খেলার স্পিরিটই ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য। যেটা খেলোয়াড়দের আচরণের সাথে যুক্ত।’