গনধর্ষণের শিকার তরুণী, ধর্ষকদের মহিলাদের হাতে তুলে দিলেন পুলিশ

শনিবার মধ্য প্রদেশের ভোপালে ঘটেছে ঘটনাটি। কলেজের জুনিয়রকে দেখা করতে ডেকে নিজের বন্ধুদের সহায়তায় তাঁকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে একুশ বছরের এক যুবকের উপর। এমনই প্রকাশ পেয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। তবে অভিযুক্তদের আদালতে তোলার আগে তাঁদের পথচলতি মহিলাদের হাতে তুলে দিলেন মহারাণা প্রতাপ নগর পুলিশ থানার আধিকারিকরা।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, শনিবার তাঁকে দেখা করতে ডেকেছিলেন শৈলেন্দ্র ডাঙ্গি নামে কলেজের এক সিনিয়র। দেখা করতে এসে দু’জনের মধ্যে বচসা বাঁধে। ঘটনার জেরে যুবতীর ফোন কেড়ে নেন শৈলেন্দ্র এবং তাঁকে জোর করে নিজের বন্ধু সোনু ডাঙ্গির বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ধীরাজ রাজপুত এবং চিমান রাজপুত নামে সোনুর দু’জন বন্ধু। দু’জনের বয়স যথাক্রমে ২৬ এবং ২৫ বছর। তারপর শৈলেন্দ্র এবং ধীরাজ দু’জনে মিলে বছর কুড়ির ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেন। তাঁদের সাহায্য করেছিলেন সোনু এবং চিমান।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ঘটনার পর নির্যাতিতাকে হুমকি দেন চারজনে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রবিবার সকালে মহারাণা প্রতাপ নগর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। সেই দিনই গ্রেফতারও করা হয় চার জনকে। কিন্তু পুলিশের গাড়ি করে নয়, পায়ে হেঁটে চারজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকী, রাস্তচলতি মহিলাদের ডেকে তাঁদের জুতো পেটাও করানো হয়।

কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তরে ভোপালের ইন্সপেক্টর জেনারেল জয়দীপ কুমার জানিয়েছেন যে, নারী নির্যাতনের সমস্ত অভিযুক্তকেই এখন থেকে এইভাবেই পায়ে হেঁটে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। মহিলাদের থেকে জুতো পেটাও খাওয়ানো হবে। এতে বাকি নির্যাতিতাদের মনোবল বাড়বে এবং তাঁরা নিজের উপর হওয়া অত্যাচারের ব্যাপারে সরব হবেন।

এই বিষয়ে পুলিশ সুপার বিকাশ কুমার সহওয়াল জানিয়েছেন যে, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‌ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৭৬(ডি) এবং ৩৬৫ নং ধারার অধীনে তাঁদের উপর যথাক্রমে ধর্ষণ, গণধর্ষণ এবং অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় নিজেরদের অপরাধও স্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। শীঘ্রই তাঁদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলে নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।