গোপালগঞ্জে বন্ধুর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়লো প্রেমিক-প্রেমিকা, তারপর বিয়ে!

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক বন্ধুর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ল প্রেমিক-প্রেমিকা। স্থানীয় এক সুত্রে জানায়, কাশিয়ানী উপজেলার দহিসারা গ্রামের শামচুল মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে একই উপজেলার জোনাশুর গ্রামের মঞ্জুর শেখের মেয়ে জলি খানমের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। রোববার এই সূত্র ধরে দুপুরের দিকে প্রেমিক সোহেল মোল্লার সঙ্গে দেখা করতে রাজপাট গ্রামে তার এক বন্ধুর বাড়িতে আসে প্রেমিকা জলি।

আর এরপরে প্রেমিক-প্রেমিকাকে দেখতে পেয়ে চলে আসে এলাকাবাসী। তারা হাতে নাতে ধরে ফেলেন দুই প্রেমিক-প্রেমিকাকে। আর সাথে সাথেই পালিয়ে যান প্রেমিক সোহেল মোল্লা। পরে আবার তাকে ধরা হয় এলাকা থেকে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম খান জানান, ধরা পরার পর জলি খানম বিয়ের জন্য সোহেল মোল্লাকে চাপ দেয়। কিন্তু সোহেল মোল্লা প্রেমিকাকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়।

এরপরে সাথে সাথে ডেকে আনা হয় কাজীকে। পরে রোববার রাতে কাশিয়ানী থানার ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে থানায় সোহেল মোল্লা ও জলি খানমের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এরপর উভয়পক্ষের সম্মতিতে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর এরপরেই দুই পরিবারের সম্মতিতে গার্ডিয়ানদের উপস্থিতি সম্পন্ন হয় বিয়েটি।