ছাত্রলীগ নেতাকে সালাম না দেয়ায় লজ্জাস্থানে লাথি

‘আস্তে সালাম দেয়াকে’ কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের এক জুনিয়র নেতার লজ্জাস্থানে লাথি মেরে আহত করেছে একই হলের সিনিয়র দুই নেতা।

শনিবার (২৪মার্চ) রাতে স্যার এ এফ রহমান হলের গেস্টরুমে (ছাত্রলীগের মিনি আদালত) এ ঘটনা ঘটে।

মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- হল শাখা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার মণ্ডল ও অর্থ সম্পাদক সেলিম রেজা। এর মধ্যে কাউসার বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগে এবং সেলিম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। আর মারধরের শিকার হল শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক উপসম্পাদক হাসান গাজী উর্দু বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারের অনুসারী।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ২৪ মার্চ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ছিলো। হলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে হাসান গাজী ও তার এক সহপাঠী বিভিন্ন রুমে গিয়ে সবাইকে কর্মসূচিতে আসার জন্য ডাকতে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় কাউসারের রুমে যায় এ দুজন। রুমের বাইরে থেকে হাসান গাজীর সহপাঠী কাওসারকে সালাম দিলেও সে তাতে সাড়া দেয় না । তাই হাসান তার সহপাঠীকে জোরে সালাম দিতে বলে। এতেই হাসানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম দফায় তাকে গালমন্দ করে কাউসার।

পরবর্তীতে রাতে হাসানকে গেস্টরুমে ডেকে প্রথমে গলা চেপে ধরে কাউসার। এ সময় সেলিম এসে হাসানের লজ্জাস্থানে লাথি মারে। সে অসুস্থ বোধ করায় তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। এ লাথির ফলে তার ভীষণ যন্ত্রণা হয় এবং প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। অমানুষিক এ নির্যাতন শেষে তাকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।

গুরুতর আহত হয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ কর্মী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন। তার তলপেট ও পুরুষাঙ্গে প্রচন্ড ব্যাথা আছে। শনিবার রাত থেকে তার প্রস্রাব বন্ধ ছিলো। বর্তমানে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। এর মধ্যে তুষার একবারের জন্যও তাকে দেখতে যাননি বলে আক্ষেপ করেন হাসান।

এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয় নি।