জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু জানাল হামলাকারী ফয়জুর

বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলায় র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারী ফয়জুর রহমান বলেছেন, ‘জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই হামলা করেছি।’

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিপল-ই বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে জাফর ইকবালের ওপর হামলা করা হয়।

র‍্যাব-৯ এর সিইও লেফট্যানেন্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী যুবককে চিকিৎসার জন্য সিলেট জালালাবাদ সেনানিবাসস্থ সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে সে তার পরিচয় ঠিকভাবে বলছে না। তার নাম সে একবার বলে শফিকুর রহমান, আরেকবার ফয়জুর রহমান বলে জানিযেছে।

রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফেরার পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারী বলেছে, ‘জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তার ওপর হামলা করেছি।

এদিকে হামলাকারীর ফয়জুর রহমান (২৪) এর প্রাথমিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় র‌্যাব ও পুলিশ। এসময় বাড়িটি তালাবদ্ধ থাকায় কাউকে না পেলেও পাশবর্তী মামার বাড়ি থেকে তার মামা ফজলুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।

মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফয়জুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পাশের বাড়ি থেকে মামাকে আটক করা হয়েছে। ফয়জুর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াপন গ্রামের হাফিজ আতিকুর রহমানের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার থাকতেন তিনি।’

ফয়জুর মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছেন। তিনি মঈন কম্পিউটার নামে একটি দোকানে কাজ করতো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল সিলেট গেছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাফর ইকবালকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাত ১০টা ২৩ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।